অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে ইউটিউব লাইভ স্ট্রিমে সঙ্গে রাখতে হবে অভিভাবক
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮:০৫ অপরাহ্ন, ১২ই জুলাই ২০২৫

কমবেশি সব বয়সি মানুষ জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব ব্যবহার করে থাকেন। আর শিশুদের জন্য রয়েছে ইউটিউব কিডস। এতে বিজ্ঞাপন ছাড়াও ভিডিও দেখার জন্য ইউটিউব সাবস্ক্রিপশন করার সুযোগ রয়েছে। খুব অল্প টাকায় এ সাবস্ক্রিপশন কেনা যায় মাসিক কিংবা বার্ষিক ভাবে। তবে ইউটিউব ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার দিকে সবসময় নজর রাখছে। বিশেষ করে শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি তাদের নজর বেশি থাকে। শিশুদের জন্য নতুন আরও একটি নিয়ম এনেছে ইউটিউব। লাইভ স্ট্রিমিং নীতিতেও বড় বদল এনেছে এ সংস্থাটি।
আর নতুন এ বিধিমালায় কোনো ক্রিয়েটর তখনই একাকী লাইভ স্ট্রিম করতে পারবেন, যখন তার বয়স ১৬ বছরের বেশি হবে। নাবালক হলে ইউটিউবে লাইভ স্ট্রিম করা যাবে না। এর আগে এ বয়সসীমা ছিল ১৩ বছর। অর্থাৎ এই নতুন নিয়মানুসারে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সি ক্রিয়েটরদের লাইভ স্ট্রিম করতে হলে তাদের বাবা-মায়ের সহায়তা জরুরি।
আরও পড়ুন: কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য দুঃসংবাদ দিল ইউটিউব কর্তৃপক্ষ
ইউটিউবের নতুন নিয়মানুযায়ী, যদি কোনো ইউটিউবারের বয়স ১৬ বছরের কম হয়, তাহলে তাকে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে সেই লাইভ স্ট্রিম করতে হবে। সে এডিটর হতে পারবে, লাইভ স্ট্রিম ম্যানেজ করতে পারবে কিংবা নিজের প্রাপ্তবয়স্ক পৃথক চ্যানেল গড়তে পারবে। ফলে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি সেই ইউটিউবারের চ্যানেল থেকে লাইভ স্ট্রিম শুরু করতে এবং একই দর্শকদের কাছে কনটেন্ট পৌঁছেও দিতে পারবেন।
এ পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব হতে পারে যে, এখন থেকে আরও বেশিসংখ্যক পরিবার ইউটিউবে লাইভ স্ট্রিম করবে একসঙ্গে। এখন ১৬ বছরের কম বয়সি শিশুর একা একা লাইভে যাওয়ার অনুমতি নেই। তাই বাবা-মা কিংবা অভিভাবকের কেবল প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণই নয়; বরং লাইভ স্ট্রিমের সময় শিশুর ওপরে নজরদারিও রাখতে হবে। এতে শিশু এবং বাবা-মায়ের মধ্যে একটি নতুন ডিজিটাল সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসাক্ষেত্রে চীনা বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী সফলতা
যদি পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে লাইভ স্ট্রিম করেন, তাহলে এটি শুধু শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তাই নয়, বরং একসঙ্গে সময় কাটানোর একটি নতুন ডিজিটাল উপায়ও হয়ে উঠতে পারে। যারা ইউটিউবকে ক্রিয়েটিভ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখেন বা ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে এ নীতি কার্যকরী হবে।
যদিও পারিবারিক লাইভ স্ট্রিমে নানারকম প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। লাইভ হওয়ার অর্থ হলো— সবকিছু তাৎক্ষণিকভাবে সবার সামনে চলে আসা। এমন পরিস্থিতিতে গোপনীয়তার প্রশ্ন উঠতে পারে। কোনো বিষয় প্রকাশ্যে আনা যেতে পারে, আবার কোনো বিষয় গোপন রাখাও উচিত তা সম্পর্কে বাবা-মা এবং শিশুর স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। লাইভ স্ট্রিম যাতে আকর্ষণীয় হয় এবং ইউটিউবের নিয়ম যাতে কোনোভাবেই লঙ্ঘন না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।
এমএল/