এবার নিপুণকে আইনি নোটিশ জায়েদের
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
চলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তার লড়াই এখন আদালতে।
এর মধ্যেই নিপুণের নামে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন জায়েদ।
মঙ্গলবার
(১৫ ফেব্রুয়ারি) এফডিসিতে সংবাদ সম্মেলন করে নিপুণ দাবি করেন, আদালতের নির্দেশ মতে
তিনিই সমিতির সাধারণ সম্পাদক রয়ে গিয়েছেন এবং শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে
কাজ চালিয়ে যাবেন।
কিন্তু
বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন জায়েদ খান। আর এর পরিপ্রেক্ষিত বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)
এই চিত্রনায়ক তার আইনজীবী মো. আব্দুল কাইয়ুমের মাধ্যমে আইনি নোটিশটি পাঠিয়েছেন।
নোটিশে
উল্লেখ করা হয়, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন
আপিল বিভাগ। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে আপাতত পদটি শূন্য থাকবে। যতদিন না আমার মক্কেলের
(জায়েদ খান) করা রুলের নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু তার আগেই নিপুণ নিজেকে সাধারণ সম্পাদক
দাবি করে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, যা আদালত অবমাননার শামিল।
নোটিশ
প্রেরণকারী আইনজীবী মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘আমরা মনে করেছি, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির
সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত যে স্থিতিবস্থা
জারি করেছিলেন, নিপুন আক্তার সে আদেশ ভঙ্গ করেছেন। তিনি গতকাল (১৫ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ
সম্মেলনে এসে যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন তা আদালত অবমাননার শামিল। তাই আদালত অবমাননা করে
ওই পদে না বসার বিষয়ে তাকে সতর্ক করে নোটিশ প্রেরণ করেছি। এরপরও যদি তিনি ওই পদে বসেন
তবে আমরা তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করবো।’
এদিকে,
গতকাল নিপুণের এই দাবির প্রেক্ষিতে জায়েদ খান বলেন, ‘মহামান্য আদালত সর্বশেষ আদেশে
বলেছেন রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই পদটি ফাঁকা থাকবে। আর রুলের শুনানি তো হবে
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি। তার পর নিষ্পত্তির বিষয় আসবে। তার আগেই নিপুণ বাইর থেকে লোক এনে
পেশিশক্তির জোরে এগুলো করছেন। বিষয়টি অনেকটা চর দখলের মতো দেখাচ্ছে। আমি লজ্জায় বাইরে
বের হতে পারি না। লোকে আমাদের কর্মকাণ্ড দেখে হাসছে।’
উল্লেখ্য,
গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এর প্রাথমিক ফলাফলে
সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হন জায়েদ খান। তবে তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন নিপুণ।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নির্বাচনের আপিল বোর্ড জায়েদের প্রার্থীতা বাতিল করে
এবং নিপুণকে বিজয়ী ঘোষণা করে।
আপিল
বোর্ডের রায় না মেনে আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান। সেই আবেদনের বিপরীতে পাল্টা আপিল
করেন নিপুণ। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বিষয়টির পুনরায় শুনানি হবে।
ওআ/