টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে পর্যটকদের নিয়ে সাবমেরিন নিখোঁজ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪:৫০ অপরাহ্ন, ২১শে জুন ২০২৩
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পর্যটকদের নিয়ে নিখোঁজ হওয়া সাবমেরিন টাইটানের এখনো সন্ধান মেলেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, পর্যটকবাহী ওই সাবমেরিনের খোঁজে তল্লাশিরত কানাডার একটি বিমান পানির নিচে সংকেত শনাক্ত করতে পেরেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ছাড়াও কানাডার একাধিক দল আটলান্টিক মহাসাগরের প্রত্যন্ত একটি এলাকায় সাবমার্সিবলটি অনুসন্ধান করে যাচ্ছে। ডুবোজাহাজটি খুঁজতে তিনটি সামরিক বিমান পাঠিয়েছে পেন্টাগন।
সমুদ্রবিজ্ঞানী ডেভিড মেয়ার্নস সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে বলেন, ডিপ এনার্জির সাবমেরিনটি ৩৮০০ মিটার গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতায় ভূমিকা রাখতে পারবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সরকারকে টাইটানিকের নায়কের অভিনন্দন
দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, ওই সাবমেরিনে এখন টিকে থাকার জন্য ৩০ ঘণ্টারও কম অক্সিজেন আছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরের পর এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ডের ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডেরিক বলেন, তাদের বাহিনীর সদস্যরা ‘ঘড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে’ ডুবোজাহাজটি খুঁজছে। তিনি বলেন, এটি হচ্ছে বিশাল এলাকা জুড়ে জটিল একটি অভিযান।
স্থানীয় সময় রবিবার আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখার জন্য পানির নিচে যাওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর মাদার ভেসেল পোলার প্রিন্স থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ওই ডুবোজাহাজে ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও অভিযাত্রী হামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তার ছেলে সুলেমান রয়েছেন।
টাইটার সাবমার্সিবলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি রয়েছে বলে ২০১৮ সালে সতর্ক করে দিয়েছিলেন ওশানগেটের সাবেক একজন বিশেষজ্ঞ। সে কারণে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
জেবি/ আরএইচ/