দুদকের মামলা
রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পেছাল
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:১৩ অপরাহ্ন, ১৩ই জুলাই ২০২৩
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেমের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠন পিছিয়ে আগামী ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন দুদকের পক্ষে অভিযোগ গঠন পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে এদিন ধার্য করেন।
অপরদিকে হুমায়ুন খাদেমের পক্ষে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ধার্য তারিখ পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ৮ আগস্ট
এর আগে রাজধানীর গুলশান এলাকার ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি আটজনকে আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- রাজউকের সাবেক পরিচালক আব্দুর রহমান ভূঞা (এ আর ভুঞা), প্লট বরাদ্দ পাওয়া আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান, সহিউজ্জামানের স্ত্রী কামরুন নেছা, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিয়ার রহমান।
আরও পড়ুন: গুলশানের পুলিশ কর্মকর্তার ৬ বছর ও তার স্ত্রীর ৪ বছরের কারাদণ্ড
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান মডেল টাউনের ৮৩ নম্বর রোডে ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশের প্লটটির মালিক ছিল প্রিন্স করিম আগা খানের মালিকানাধীন পিপলস জুট মিল। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট আদেশে সম্পত্তিটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হওয়ায় এর মালিক হয় সরকার। ১৯৯২ সালে এখানে নতুন চারটি প্লট করা হয় যেগুলোর হোল্ডিং নম্বর হচ্ছে- ২৮, ২৮(এ), ২৮(বি) ও ২৮(সি)। প্লটগুলো অবৈধভাবে আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান মোশাররফ হোসেন, জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমানকে বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমান প্লটের দখলে রয়েছেন। অপর দুটি হাতবদল হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে রাজউক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেখানে পরবর্তীতে গুলশান মডেল টাউনের অধীনে ইমারত নির্মাণ করা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন সেলিনা আখতার।
জেবি/এসবি