আফগানিস্তানকে চাপে রেখেছে টাইগাররা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
লিটন দাসের শতক (১৩৬), মুশফিকুর রহিমের (৮৬) অর্ধশতকে ৪ উইকেটে ৩০৬ রান সংগ্রহ করে ইনিংস শেষ করে বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে টাইগারদের সর্বোচ্চ রান এটি।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩০৬ রান গড়ে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা লিটন ১২৬ বলে খেলেছেন ১৩৬ রানের ইনিংস।
শুক্রবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সাবধানী শুরু করে বাংলাদেশ। যদিও শুরুর দিকে আউট হতে পারতেন লিটন। ফারুকির বল মোকাবিলা করতে গিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। লিটনকে ফেরানোর লক্ষ্যে রিভিউ নেয় আফগানরা। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল পিচ করে লেগ স্টাম্পের বাইরে। তাই আফগানদের রিভিউ নষ্ট হয়।
তবে লিটন বাঁচলেও তামিম রক্ষা পাননি। সপ্তম ওভারে তাঁকে বিদায় করেছেন ফারুকি। বাংলাদেশ অধিনায়ককে এলবির ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন ফারুকি। দুই বাউন্ডারিতে ২৪ বলে ১২ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
তামিম ফিরলে কিছুক্ষণ সাকিবকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন লিটন। কিন্তু বল হাতে নিজের প্রথম ওভারে সাকিবকে শিকার বানান রশিদ খান। ২০ রান করে ড্রেসিং রুমে ফেরেন সাকিব। ৫৪ বলে ভাঙে ৪৫ রানের জুটি।
তামিম-মুশফিকের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে চমৎকার জুটি পায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া লিটন-মুশফিক আজ খেলেন নির্ভার হয়ে। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৬৫ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন লিটন। ওয়ানডেতে এটি তাঁর চতুর্থ ফিফটি। লিটনের কিছুক্ষণ পর হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ৫০ ছুঁয়েছেন ৫৬ বলে।
এই জুটিতে বড় সংগ্রহের নাগাল পেয়ে যায় বাংলাদেশ। দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার পথে ১০৭ বলে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাস। ৪১তম ওভারে রশিদ খানকে চমৎকার ইনসাইড আউটে কাভারের ওপর দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আদায় করে নেন সেঞ্চুরি। শতক স্পর্শ করতে লিটন খেলেন ১৪টি বাউন্ডারি।
সেঞ্চুরির পর বোলারদের ওপর আরো চড়াও হন লিটন। সঙ্গে মেরে খেলেন মুশফিকুর রহিমও। কিন্তু দুজনে মিলে ইনিংস শেষ করতে পারলেন না। ১৩৬ রানে গিয়ে থামেন লিটন। আর সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরা মুশফিক করেন ৮৬ রান। ২০২ রানের এই জুটি ভাঙলে শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ-আফিফের ব্যাটে ৩০৬ রানে থামে বাংলাদেশ। শেষ দিকে আশানুরূপ রান তুলতে পারেননি মাহমুদউল্লা-আফিফ। ৬ বলে ৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। আর আফিফ করেন ১২ বলে ১৩ রান।
ওআ/