এলডিপির রেদোয়ানের ৩ বছর কারাদণ্ড


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:০৩ অপরাহ্ন, ১৪ই আগস্ট ২০২৩


এলডিপির রেদোয়ানের ৩ বছর কারাদণ্ড
রেদোয়ান আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায়  বিএনপি সরকারের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (একাংশ) মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাকে। 


সোমবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ -২ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহাসচিব শাহ আলম চৌধুরীকে খালাস দেন।


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।


মামলার নথিপত্র থেকে জানা গেছে, আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র জমা হওয়ার পর আসামি রেদোয়ান আহমদের পক্ষে মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ২০০৭ সালে একটি রিট আবেদন করা হয়েছিল। ২০১০ সালের ২৫ অক্টোবর হাইকোর্ট ওই আবেদন খারিজ করে দেন।


আরও পড়ুন: ঠিকানা সংশোধন করে তারেক রহমানকে নোটিশ পাঠাতে নির্দেশ


উচ্চ আদালতে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদনও আপিল বিভাগ ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর খারিজ করে দেন। ওই রায় পর্যালোচনার জন্য আপিল বিভাগে ২০১৬ সালে রিভিউ আবেদন করেন রেদোয়ান। বিচারাধীন ওই আবেদন দেখিয়ে তিনি বার বার সময় নিচ্ছিলেন বলে দুদকের আইনজীবী জানান।


মামলায় অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ হাট-বাজার থেকে প্রতি বছর যে টাকা মন্ত্রণালয় পায় তার ৪ ভাগ টাকা দুস্থ ও বেকার মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলকে দেওয়া হয়, যার পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা। এই টাকা জমা রাখার জন্য সোনালী ব্যাংক মগবাজার শাখায় একটি হিসাব রয়েছে।


আরও পড়ুন: আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি শাকিব খান


এর আগে ২০০২ সালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রেদোয়ান আহমেদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থসচিব শাহ আলম এই অর্থের জিম্মাদার হিসেবে বহাল থাকাবস্থায় ওই হিসাব থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।


পরে ২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম রমনা থানায় মামলাটি করেন। তদন্তের পর ২০০৭ সালের ৮ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক মোহা. আবুল হোসেন আসামি রেদোয়ান ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।


জেবি/এসবি