ইউরোপ-আমেরিকার প্রতিনিধিরা দাওয়াত ছাড়াই চলে আসেন: কাদের
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭:১৪ অপরাহ্ন, ১৮ই আগস্ট ২০২৩
‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিদেশিদের আগ্রহের কড়া সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) টিএসসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার প্রতিনিধিদের বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দাওয়াত করা হয় না। তারা দাওয়াত ছাড়াই চলে আসেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কী বিপদে আমরা আছি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইউরোপের নেতাদের আমরা তো দাওয়াত করি না। কোথা থেকে এত মেহমান আসেন। ইউরোপ-আমেরিকার মেহমান না বলে চলে আসেন। আসতে চান আমাদের বলেন, আমরা আদর-যত্ন করে রাখব।
তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে আমাদের জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। আপনারা কথা বলেন, ধমক মারেন, নিষেধাজ্ঞা দেন, এখন আবার ভিসা নীতি দেন। কিন্তু এই হুমকি বিএনপির ব্যাপারে কেন দেন না? ওখানে কি ভিসা নীতি নেই? আপনাদের তো মূল কথা নির্বাচনে যে বাধা দেবে, তার বিরুদ্ধে ভিসা নীতি। এই কাজ তো বিএনপি করছে। আমরা তো করছি না। আমরা তো নির্বাচন চাই, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। নির্বাচনের আগে-পরে শান্তি চাই। যারা নির্বাচনের নামে আগুন-সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করবে, আমরাও দেখব এই নিষেধাজ্ঞার মানে কী, এই ভিসা নীতি কার বিরুদ্ধে প্রয়োগ হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা (বিএনপি) তারেক রহমানকে বলেন, সাহস থাকলে দেশে আসতে। রাজপথে ফয়সালা হোক। কানাডার আদালত বিএনপিকে পাঁচবার সন্ত্রাসী বলেছে। বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিদেশেও চিহ্নিত। এই টেরোরিস্টের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ।
কাদের বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, নির্বাচনব্যবস্থা যেটা শেখ হাসিনার হাতে জাতি পাচ্ছে, বিএনপি স্বপ্নেও সেটা পেরেছে?
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বড় দোষ সত্য কথা বলা। ১৫ আগস্টের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা, বড় বড় সত্য ফাঁস করে দিয়েছেন। তিনি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না। আমরা অনেকে ভয় করি, নেত্রী কেন এসব বলেন? বিশ্ব মোড়লদের খেঁপাচ্ছেন। কিন্তু নেত্রীর কাছে সব খবর আছে। এখানে একটা বড় খেলা আছে। অন্য দেশের গণতন্ত্র নিয়ে তাদের (বিশ্ব মোড়ল) মাথাব্যথা নেই।’
এ সময় বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিষয়ে কাদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক চাইলে পাকিস্তানে চলে যান। দুনিয়ার কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।,
আরএক্স/