গাজায় নিহতদের কবরও দেওয়া যাচ্ছে না
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:১২ পূর্বাহ্ন, ১৩ই নভেম্বর ২০২৩
ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজার হাসপাতালগুলো ঘিরে বড় ধরনের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সেখানকার প্রধান দুটি হাসপাতালও বন্ধ থাকায় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি হামলার কারণে একটি হাসপাতালে পড়ে থাকা শতাধিক মরদেহ কবর দেওয়া যাচ্ছে না।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, জ্বালানিসংকট; বিদ্যুৎ না থাকা; চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাবার ও পানির অভাবে গাজার হাসপাতালগুলোয় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি হামলায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন সেখানকার লোকজন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, “বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আল-শিফা হাসপাতালে পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে অপরিণত তিন নবজাতকও রয়েছে। এই হাসপাতালে শতাধিক মরদেহ পড়ে আছে। হামলার কারণে এসব মরদেহ দাফন করার মতো পরিস্থিতি নেই।
আল-শিফা হাসপাতাল চত্বরে দুই দিন আগে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে ১৩ জন নিহত হন। গতকাল সেখান থেকে নারী-শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের একটি দল বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলি চালান ইসরায়েলি সেনারা।”
আরও পড়ুন: গাজার সবচেয়ে বড় দুই হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল
গাজার ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালের মেঝেতে রেখে রোগীদের চিকিৎসা দিতে দেখা গেছে। উত্তর গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত বোমাবর্ষণের কারণে ভয়াবহ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তরাখন্ডে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ টানেল, ৪০ জন শ্রমিক আটক
জ্বালানিসংকট ও ইসরাইলি হামলার কারণে গাজার ৩৬টি হাসপাতালের ২০টি বন্ধ হয়ে গেছে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা এ তথ্য দিয়েছে। অবশ্য বন্ধ হয়ে যাওয়া হাসপাতালের সংখ্যা ২১টি বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট।
জেবি/এসবি