শুটিংয়ের আড়ালে দেহব্যবসায় জড়িত ছিলেন যেসব অভিনেত্রীরা!
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
বিনোদনের জগৎ মানেই লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের পাশাপাশি ঝাঁ চকচকে রঙিন একটা দুনিয়া। সময়ে সময়ে বহুবার বলিউড ইন্ডাস্ট্রির ভিতরে শুটিংয়ের আড়ালে দেহব্যবসা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।
বহুবারই প্রমাণও মিলেছে দেহব্যবসার, যেখানে জড়িত রোয়েছিলেন নামিদামি তারকারাও। হাতে নাতে ধরা পড়ে নিজেদের বদনামের পাশাপাশি কেরিয়ারের বারোটা বাজিয়েছেন অনেকেই।
ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে উঠে এসেছে কিছু অভিনেত্রীদের নাম।
শ্বেতা প্রসাদ বসু: বলিউডের এই অভিনেত্রী একজন জনপ্রিয় টেলিভিশন তারকা। তবে পরবর্তী দিনে তিনি নাকি বেশ্যাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে দেহব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে হায়দ্রাবাদ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে অবশ্য হায়দ্রাবাদের সেশন কোর্টে মামলা উঠলে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়।
শার্লিন চোপড়া: বলিউডের উঠতি হট মডেল-অভিনেত্রী শার্লিনের সোশ্যাল মিডিয়াতে ফ্যান ফলোয়ার্স অনেক। এই সুন্দরীর বিরুদ্ধেও টাকার বিনিময়ে যৌনতার অভিযোগ উঠেছিল। ‘কামসূত্র’ অভিনেত্রী নিজের মুখেই এই কথা স্বীকার করেন।
মিশতি মুখোপাধ্যায়: ‘লাইফ কি তো লাগ গেয়ি’ ছবির অভিনেত্রীর বিরুদ্ধেও সেক্স র্যাকেট চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ একবার অভিযোগ পেয়ে তার লোখান্ডওয়ালার ফ্ল্যাটে হানা দেয়। সেখান থেকে ২ লক্ষ টাকা মূল্যের ২৫ হাজার পর্নোগ্রাফি সিডি উদ্ধার করে পুলিশ।
আইশ আনসারী: তামিল ইন্ডাস্ট্রির এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধেও পতিতাবৃত্তির অভিযোগ ওঠে। ২০১১ সালে জয়পুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সায়রা বানু: ইনি তেলেগু ইন্ডাস্ট্রির নামী অভিনেত্রী। তবে ২০১০ সালে যৌনপেশায় কয়েকজন ক্লায়েন্টের সঙ্গে হাতেনাতে ধরা পড়ে তার নাম ডোবে। হায়দ্রাবাদের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ৭ জন মহিলাসহ ধরা পড়েছিলেন সায়রা বানু।
ভুবনেশ্বরী: চেন্নাইয়ের একটি সেক্স র্যাকেটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এই দক্ষিণী সুন্দরী। আপত্তিকর অবস্থায় ধরাও পড়েছিলেন পুলিশের হাতে।
নিতু আগরওয়াল: তেলেগু অভিনেত্রী নিতু আগারওয়ালও মধুচক্র চলাকালীন অন্ধপ্রদেশ পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন।
ক্যারোলিন মারিয়া আসান: তামিল অভিনেত্রী ক্যারোলিন মারিয়া আসানের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠে। ২০১২ সালে একটি পাঁচতারা হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।