ফসলের মাঠ যেন হলুদ চাদর


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:১৭ অপরাহ্ন, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৩


ফসলের মাঠ যেন হলুদ চাদর
সরিষা ফুল। ছবি: জনবাণী

তাড়াইলের পথে-ঘাটে-মাঠে সরিষা ফুলের মৌ মৌ সুগন্ধ, আর বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে হলুদ রঙের সমারোহ। উপর থেকে দেখলে মনে হয় পুরো মাঠ ছেয়ে আছে হলুদের চাদরে। 


কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলায় গত কয়েক বছরে বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বৈরী আবহাওয়া স্বত্বেও এবার এ অঞ্চলে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। 


আরও পড়ুন: নিয়মিত সরিষার তেল খেলে যে উপকারিতা


রাউতি ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল জাহিদ বলেন, ‘গত বছর ১ একর জমিতে সরিষা চাষ করে ৩ গুন লাভ হয়েছে। তাই এবার ৩ একর জমিতে চাষ করছি সরিষা। আশা করছি এইবারও দ্বিগুন লাভবান হব। ‘ধান উঠার পর জমি তো এমনি পড়ে থাকে, তাতে বাড়তি ফসল হিসাবে সরিষা চাষ করছি। সার, কীটনাশক তেমন লাগে না, খরচ অনেক কম। আশা করি লাভবান হব।’


জাওয়ার ইউনিয়নের বোরগাও গ্রামের সরিষা চাষি আবুল কাশেম বলেন, ‘আমি ২ একর জমিতে সরিষা চাষ করছি। প্রতি একরে যদি ১২ মন করে সরিষা উৎপাদন হয় তাহলে খরচ বাদ দিয়ে আমি ভালোই লাভ পাব। অন্য ফসলের চেয়ে সরিষাতে খরচ কম আর ফসল ভালো হলে লাভজনকও।’


আরও পড়ুন: সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ


ধলা ইউনিয়নের সেকান্দরনগর গ্রামের কৃষক আবু সাঈদ বলেন, ‘জমি ফেলে না রাখে বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করছি। গতবার সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এইবার অনেকে সরিষা চাষ করছেন। এইবার যদি ভালো দাম পাই তাহলে এর পরের বার আবারও এ জেলায় বৃদ্ধি পাবে সরিষা চাষ।’


তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমন কুমার সাহা জানান, ‘আমরা অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষে কৃষকে পরামর্শ প্রদান ও সহায়তা করে আসছি। চলতি মৌসুমে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ১ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরিষা আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে।  আশা করছি কৃষকরা লাভবান হবেন।’


আরএক্স/