নৌকার এজেন্টদের বিরুদ্ধে জাল ভোটের অভিযোগ ডলি সায়ন্তনীর


Janobani

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:২৯ অপরাহ্ন, ৭ই জানুয়ারী ২০২৪


নৌকার এজেন্টদের বিরুদ্ধে জাল ভোটের অভিযোগ ডলি সায়ন্তনীর
ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ রবিবার (৭ জানুয়ারী) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে। একাধারে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ কার্যক্রম চলবে। ভোট শুরুর পর সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী অভিযোগ করেন পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএমের প্রার্থী। তিনি বলেন, এ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে জোরপূর্বক নৌকা প্রতীকে ভোট নেওয়া হচ্ছে।


রবিবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে লাইভে এসে এইসব অভিযোগ করেন ডলি।


ফেসবুক লাইভে এই শিল্পী বলেন, সুজানগরের অধিকাংশ কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের হাতে নৌকা প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক সম্বলিত কাগজ দেওয়া হচ্ছে। আর ভোটাররা সেইসব কাগজ হাতে কেন্দ্রে আসছেন। কেন্দ্র থেকে স্থানীয় গ্রাম প্রধানরা তাদেরকে নৌকায় ভোট দিতে বলছেন। একই সাথে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারও ভাঁজ করতে বলছে।


আরও পড়ুন: হেরে গেলেও সাধারণ মানুষের পাশে আছি: মাহিয়া মাহি


সুজানগরের মোহাম্মদদীয়া দাখিল মাদরাসা, মানিকহাট, সুজানগর পৌর এলাকার অধিকাংশ এলাকায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা জাল ভোট দিচ্ছে। এমনকি জোর করে ভোট কেটে নিচ্ছে। আর নোঙর মার্কার এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দিচ্ছে।


লাইভের মাধ্যমে ডলি এমন ভোট বন্ধ করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাশাপাশি যে সকল কেন্দ্রে এভাবে ভোট নেওয়া হয়েছে সেই কেন্দ্রগুলো বন্ধের দাবিও জানান এই গায়িকা।


ফেসবুক লাইভের পর সংবাদমাধ্যমে ডলি বলেন, সব জায়গা গুলোতেই নৌকার লোকজন জাল ভোট দিচ্ছে। সব জায়গায় আমি গিয়ে নিজ হাতে ধরেছি। গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের একটি কেন্দ্রে বেলা ১০টার মধ্যেই ব্যালট বাক্স ভর্তি হয়ে গেছে। এভাবে ভোট চললে কোনোভাবেই এটাকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বলা যায় না। আমরা এমন ভোট বন্ধ চাই।


আরও পড়ুন: ডাব নিয়ে কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন হিরো আলম


এসব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওই আসনের নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আহম্মেদ ফিরোজ কবির বলেন, এভাবে আন্দাজে অভিযোগ না দিয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ দিতে হবে। কোনো কেন্দ্রেই নৌকার পক্ষে জোরপূর্বক ভোট গ্রহণ হচ্ছে না। আর জোরপূর্বক ভোট গ্রহণের অভিযোগ করলে সেটা আমার দিকে নয়, প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হবে।


এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান বলেন, তিনি একটি কেন্দ্রের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছেন। আর সেখানে ইতোমধ্যেই ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছে। ভোট গ্রহণে কোনো প্রকার অনিয়ম হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কাওকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।


এমএল/