হেরে গেলেও সাধারণ মানুষের পাশে আছি: মাহিয়া মাহি


Janobani

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:২১ অপরাহ্ন, ৭ই জানুয়ারী ২০২৪


হেরে গেলেও সাধারণ মানুষের পাশে আছি: মাহিয়া মাহি
মাহিয়া মাহি | ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বর্তমানে দেশেজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে। ভোট গ্রহণ একাধারে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।


রবিবার (৭ জানুয়ারি) চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এদিন সকালেই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন এই অভিনেত্রী।


মাহিয়া মাহি কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটের সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন। এ সময় কেন্দ্রের নানান বিষয় নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলেন তিনি।


এসময় সংবাদ মাধ্যমে মাহি বলেন, ভোটারদের সবার সাথেই কথা বলছি, তারা সবাই উৎসব মুখর পরিবেশে আছে। এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো মনে হচ্ছে। বাইরে আরও অনেক মানুষ অপেক্ষা করছেন। তবে মেয়েদের উপস্থিতিটাই বেশি নজরে পড়ছে। এখন সময় যতো বাড়বে ততো বেশি বোঝা যাবে।


আরও পড়ুন: ডাব নিয়ে কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন হিরো আলম


বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে কোনো অভিযোগ পাচ্ছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে এ নায়িকা বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে অভিযোগ তো আছেই। যেমন— বাইরে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে, ভোট চাচ্ছে। কেন্দ্রের ভেতরে গিয়েও ভোট চেয়েছে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। আমি সেখানকার অফিসারদের সাথে কথা বলেছি। পাশাপাশি এলয়াকায় ভয়ভীতি দেখানোর বিষয়গুলো তো কমবেশি আছেই। ইতোমধ্যেই যতোটুকু সম্ভব হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছি।


বিভিন্ন কেন্দ্রের কিছু অভিযোগ জানিয়ে মাহি বলেন, কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। যেমন— অনেক এজেন্টদের পাঁচ মিনিট দেরি হওয়ার কারণে কেন্দ্রের ভেতরেই ঢুকতে দেননি। আবার কোথাও কোথাও শুনতে পেলাম, কেন্দ্র একবার বের হলে আর ঢুকতেই দিচ্ছে না। বাকিটা বেলা বাড়ার সাথে সাথে বোঝা যাবে।


নির্বাচনে জয়ী হওয়া বিষয়ে মাহি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন আমি এটা মেনে নেব। পাশাপাশি আল্লাহ না করুক আমি যদি ফেলও করি, সোমবার (৮ জানুয়ারি) সমস্ত এলাকাজুড়ে শোডাউন করব।


আরও পড়ুন: ভোট দিলেন ঢাকা-১০ আসনের প্রার্থী ফেরদৌস


কারণ, আমার এলাকার সাধারণ মানুষের আমি জানান দিতে চাই, নির্বাচনে পাশ করলেও আপনাদের সাথে থাকতাম। হেরে গেলেও আপনাদের পাশেই আছি আমি।


ইসির দেওয়া তথ্যমতে জানা যায়, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার কর্মী, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ সদস্য, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি সদস্য, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড ও ৭০০ এর বেশি র‌্যাব টহলে থাকবে। আর তাদের সাথে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে-ময়দানে থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা কর্মী।


এবার জাতীয় নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ আছেন ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২ জন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ আছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। এবার ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।


আরও পড়ুন: ভোট দেওয়া নাগরিক অধিকার: ববি


এবারের জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ টি আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন নির্বাচনে লড়ছে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়াও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপির।


অন্যদিকে, বিএনপিসহ ৬০টি দল এবারের নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগে থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নিছে। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটির নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর ও ইউটিলিটিস বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।


এমএল/