সাকিব-তামিম মুখোমুখি লড়াইয়ে শেষ হাসি তামিমের


Janobani

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৩১ অপরাহ্ন, ২০শে জানুয়ারী ২০২৪


সাকিব-তামিম মুখোমুখি লড়াইয়ে শেষ হাসি তামিমের
ছবি: সংগৃহীত

বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ের জন্য ফরচুন বরিশালের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৩৫ রানের। তবে মিরপুরের মাঠে খেলা বলেই কি-না দারুণ বোলিং করে রংপুর রাইডার্স ম্যাচ নিয়ে যায় শেষ ওভার পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত জয় না পেলেও বরিশালকে ভালোই ভুগিয়েছে সাকিব-সোহানরা। দ্বিতীয় ইনিংসের ৫ বল হাতে রেখেই বরিশাল ম্যাচ জিতেছে ৫ উইকেটের বিনিময়ে।


শনিবার (২০ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভার শেষে ১৩৪ রান সংগ্রহ করতেই থেমে যায় রংপুরের রানের চাকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় ফরচুন বরিশাল। তবে মাঝের কিছু ওভারে দারুণ বোলিং করেছেন রংপুরের বোলাররা। ফলে ম্যাচে ছড়ায় চরম উত্তেজনা। যদিও শেষ পর্যন্ত বরিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। 


আরও পড়ুন: হাইভোল্টেজ ম্যাচে সাকিব-তামিম মুখোমুখি  


লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ৩২ রানে প্রথম উইকেট হারায় তামিমের দল। অন্যদিকে নিজের কোটার প্রথম ওভারেই রংপুরকে ব্রেকথ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। তার বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ইব্রাহিম জাদরান ক্যাচ দেন শেখ মেহেদীকে। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে আর কোনো উইকেট হারায়নি ফরচুন বরিশাল, ৬ ওভারে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৫১ রান।


দীর্ঘ প্রায় তিন মাস পর মাঠে ফিরলেও রংপুরের বিপক্ষে শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিনি। তবে মোহাম্মদ নবীর বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে এক ছক্কা হাঁকানোর পর, পরের বলেই একই শট খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন এই বাঁহাতি ওপেনার। এরপর বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন সৌম্য সরকারও (১)।


আরও পড়ুন: বরিশালের সামনে রংপুরের নড়বড়ে পুঁজি


অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই উইকেট হারানো বরিশাল এরপর খেলতে থাকেন দেখেশুনে। মেহেদী হাসান মিরাজকে সাথে নিয়ে মুশফিকুর রহিম সচল রাখেন রানের চাকা। যদিও দুজনের কেউই ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি এদিন। মিরাজ ২০ রানে আর মুশফিক ২৬ রানে ফেরেন সাজঘরে। মিরাজ উইকেট দিয়ে আসেন হাসান মুরাদকে। আর সাকিব নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মুশফিকুর রহিমকে।


বরিশালের হয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং শোয়েব মালিক। বরিশালের জয় আরও কষ্টসাধ্য হতো, যদি না হাত খুলে খেলতেন সাইলেন্ট কিলার খ্যাত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার হাঁকানো দুই ছয়েই লক্ষ্য ছোট হয়ে আসে বরিশালের সামনে। শেষ ওভারে শেখ মাহেদীর প্রথম বল উড়িয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করে বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন অভিঙ্গ এই অলরাউন্ডার, অপরাজিত থাকেন ১১ বলের বিনিময়ে ১৯ রান করে। অপরপ্রান্তে থাকা শোয়েবের ব্যাট থেকে আসে মূল্যবান ১৭ রান।


এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রংপুর ধাক্কা খায় ইনিংসের প্রথম বলেই। মোহাম্মদ ইমরানের বলে গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরে যান রনি তালুকদার, সাকিব আল হাসান এবং আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের উইকেটও হারায় রংপুর রাইডর্সি। রনি ৫, সাকিব ২ এবং আজমতুল্লাহ ৬ রানে ফিরলে ৩১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে সোহানের দল।


আরও পড়ুন: ভারতীয় শিবিরে মারুফের জোড়া আঘাত


চারে নামা রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান সেই ধাক্কা কাটানোর চেষ্টা করেন ধীর ধীরে ব্যাটিং করে। একই পন্থা অবলম্বন করেন তরুণ ব্যাটার শামীমও। শেষদিকে এসেও রান তোলার গতি বাড়াতে না পারায় ১৩৪ রানেই থামতে হয় রংপুর রাইডার্সকে। ২৩ বলে ২৩ রান করে ফেরেন দলনেতা সোহান। আর ৩৩ বলে ৩৪ রান আসে শামীমের ব্যাট থেকে।


শেষে শেখ মাহেদী হাসান ১৯ বলে ২৯ রান করলে কিছুটা লড়াই করার পুঁজিপায় রংপুর। তারপরেও ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি সাকিব-সোহানরা। খালেদের মতো দারুণ বোলিং করেন বরিশালের স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজও। ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট। অন্যদিকে ইমরানের মতো একটি করে উইকেট পেয়েছেন দুনিথ ভেলালাগে এবং শোয়েব মালিকও।


এমএল/