শ্রীপুরে তীব্র শীতে খোলা জায়গায় চলছে পাঠদান


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, ২২শে জানুয়ারী ২০২৪


শ্রীপুরে তীব্র শীতে খোলা জায়গায় চলছে পাঠদান
খোলা জায়গায় চলছে পাঠদান। ছবি: জনবাণী

সারাদেশ কাঁপছে শীতের দাপটে, ক্রমেই কমছে তাপমাত্রা, হচ্ছে বৃষ্টি। প্রায়ই মিলছেনা রোদের দেখা। হাড় কাঁপানো শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে কাঁপতে কাঁপতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুপড়ি ঘরের ক্লাস রুমেই ঠায় নিচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। শুধু শীতেই নই গরমের দিনেও কষ্টের শেষ থাকে না তাদের। 


রবিবার (২১ জানুয়ারি) মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গোয়ালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল এমন চিত্রই। প্রায় এক বছর আগে বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনটি ভেঙে নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়। গত দেড় মাস নতুন ভবনের কাজ শেষ হলেও কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এখন পর্যন্ত নতুন ভবনটি হস্তান্তর সম্ভব হয়নি। 


আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ১


গোয়ালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক উম্মুল খায়ের সালমা জানান, শৈত্য প্রবাহের কারণে কনকনে শীতের মধ্যে খোলা জায়গায় ক্লাসে পাঠদান কঠিন। শীতের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরাও মনোযোগ হারাচ্ছে। বৃষ্টিতে এখানেও ক্লাস নেওয়া একদম অনুপযোগী হয়ে উঠে। এ অবস্থায় বছর খানেক ধরে এভাবেই ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।  


তিনি আরোও জানায়, গত ৪/৫ দিনের তীব্র শীতের কারণে বাড়ি থেকে বের হওয়াই কঠিন। গ্রাম এলাকা হওয়ায় শীতের তীব্রতাও বেশি। তার উপর সকালে কোমলমতি শিশুদের জন্য এইরকম খোলামেলা ঘরে ক্লাস নেওয়া খুবই কঠিন।


গোয়ালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী রিক্তা খাতুন জানাই, তীব্র শীতে এখানে (ঝুপড়ি ঘরে) ক্লাস করতে কষ্ট হয়। ঠান্ডা বাতাস লাগে চারদিক থেকে। এতে আমাদের সর্দিকাশি, জ্বর আসে। আমরা আমাদের স্কুলের নতুন বিল্ডিং এ ক্লাস করতে চাই।


গোয়ালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিয়ার রহমান জানান, এক বছর ধরে আমরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। তীব্র শীতে খোলামেলা পরিবেশে শিশুদের খুব কষ্ট হয়। নতুন ভবনের সব কাজ শেষ হয়েছে। জানিনা কি কারণে ভবনটি আমাদের হস্তান্তর করা হচ্ছে না? কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা বিবেচনায় আমি চাই ভবনটি আমাদের নিকট দ্রুত হস্তান্তর করা হোক।


আরও পড়ুন: যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার


শ্রীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ জানান, আমি বেশ কয়েকবার ওই বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গিয়েছি। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে অবগত করেছি।


শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী প্রসেনজিৎ চক্রবর্ত্তী জানান, বিদ্যালয়ের নতুন ভবনটি হস্তান্তর যোগ্য হয়েছে। কিছু প্রসেসিং বাকি আছে। আশা করছি সেগুলো খুব দ্রুত শেষ করেই বিদ্যালয়ের নতুন ভবনটি হস্তান্তর করা হবে। 


আরএক্স/