অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে নায়ক মান্নার শেষ সিনেমা


Janobani

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:১৯ অপরাহ্ন, ২৩শে জানুয়ারী ২০২৪


অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে নায়ক মান্নার শেষ সিনেমা
মান্না | ফাইল ছবি

ঢাকাই ছবির দাপুটে অভিনেতা ছিলেন প্রয়াত নায়ক মান্না। ২০০৮ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। এ অভিনেতার অভিনীত শেষ সিনেমা জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘জীবন যন্ত্রণা’, যা এখনও মুক্তির অপেক্ষায় আছে। তবে চলতি বছরেই সিনেমাটি মুক্তির সম্ভবনাও রয়েছে। অবশ্য এর আগে এই ছবি ভারত ঘুরে আসছে! কারণ, সেসময় সিনেমাটির দৃশ্যধারণ হয়েছিল ৩৫ মি.মি. লেন্সে। এবার সিনেমাটি কলকাতায় ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করা হচ্ছে।


এ ছবির প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই ৩৫ মি.মি. থেকে ডিজিটালে রূপান্তরের কাজ চলছে। এমনকি এর কাজটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। তারপর এ বছরের বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।


আরও পড়ুন: এক হলেন শাকিব খান-অপু বিশ্বাস


তিনি আরও জানান, তখনকার সময়ে এটা অনেক বিগ বাজেটের একটা সিনেমা ছিল। প্রায় ১৫ বছর হয়ে গেল অভিনেতা মান্না মারা গেছেন। এখনও পর্যন্ত তার অনেক ভক্ত-অনুসারী আছে, আর যাদের অনেকেই আমাকে ফোন করে ছবিটির বিষয়ে জানতে চান, এমনকি দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। একটা সময় মান্নার ছবি মানেই ছিল হাউসফুল। এখন এতদিন পর মান্নার সিনেমা মুক্তি পেলে, জানি না দর্শক সেটা কীভাবে নিবে। তবে আশা করছি, বেশ ভালোই সাড়া পাব।


সিনেমাটি ডিজিটালে রূপান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিচালক জাহিদ হোসেনও। তিনি বলেন, সে সময় ৩৫ মি.মি. কোডাক নেগেটিভে শুট করেছিলাম মান্নার এই ছবির দৃশ্য ধারণের কাজ। বর্তমান সময়ে তা সিনেমা হলে প্রদর্শনের জন্য উপযুক্ত নয়। সে কারণেই ওই নেগেটিভকে ডিজিটালে কনভার্ট করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ব্রেন স্ট্রোক করে হাসপাতালে


জানা গেছে, ইতোমধ্যেই সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডের আনকাট ছাড়পত্রও পেয়েছে। ফলে ‘জীবন যন্ত্রণা’র মুক্তিতে কোনো প্রকার বাধা নেই।


প্রসঙ্গত, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যৌনপল্লীগুলোর পরিস্থিতি, যৌনকর্মীদের ভেতরকার দ্বন্দ্ব, স্বাধীনতার সময়ে কারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বা বিপক্ষে ছিল—এমন বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘জীবন যন্ত্রণা’ নামক এই সিনেমায়। এতে মান্না ছাড়াও অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী মৌসুমী, পপি, মিশা সওদাগর, শাহনূর, মুক্তি, দীঘি, বাপ্পারাজ, আলীরাজ, আনোয়ারা, শহিদুল আলম সাচ্চু প্রমুখ।


এমএল/