ডিবি হারুন ব্যক্তিগতভাবে ফোন দিয়ে ডাকতেন: ডা. সাবরিনার


Janobani

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, ১৫ই জুলাই ২০২৫


ডিবি হারুন ব্যক্তিগতভাবে ফোন দিয়ে ডাকতেন: ডা. সাবরিনার
ফাইল ছবি।

বহুল আলোচিত জেকেজি কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী এবার মুখ খুলেছেন সাবেক ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে নিয়ে। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি হারুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে ব্যক্তিগতভাবে তাকে তলব করার অভিযোগসহ একাধিক গুরুতর মন্তব্য করেছেন।


ডা. সাবরিনা জানান, “হারুন সাহেব আমাকে তিনবার ফোন করেছিলেন আন-অফিশিয়ালি। বলতেন, ‘একটু আসেন, কথা আছে।’ অথচ আমি তখন মামলার প্রধান আসামিও ছিলাম না, এমনকি জেকেজির চেয়ারম্যান বা সাইনেটারিও ছিলাম না। আমাকে কেন ডাকা হচ্ছিল, সেটাই বোঝা যাচ্ছিল না।”


তিনি অভিযোগ করেন, এই ডাকে সাড়া না দিলে পরিবার থেকেও তাকে সতর্ক করা হতো। “বাবা বলতেন, অফিশিয়ালি ডাকলে যাবা, এমন করে না। তাই আমি যাইনি,” বলেন তিনি।


ডা. সাবরিনার আরও অভিযোগ, তাকে ডিবি অফিসে ডাকার আগে থেকেই সংবাদকর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। “সেদিন আমি গিয়ে দেখি সাংবাদিকরা আগেই উপস্থিত। এরপর গ্রেপ্তার দেখানো হলো, অথচ সেদিন শুধুই কথা হয়েছিল আমি কোন মেডিক্যাল কলেজে পড়েছি এবং কোন বিসিএস ব্যাচের।”


এছাড়াও, তিনি দাবি করেন, কারামুক্তির পরও হারুন অর রশিদ তার ওপর নজরদারি চালিয়ে গেছেন। “উনি আমার একটি বই সমকামিতা নিয়ে লেখা বলে বাজেয়াপ্ত করতে চেয়েছিলেন, যদিও বইটির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না,” বলেন সাবরিনা।


হারুনের প্রভাব ও ভয়ের প্রসঙ্গে সাবরিনা বলেন, “তখন ভয় ছিল, উনার এত ক্ষমতা ছিল যে কিছু বলাও যেত না। কিন্তু এখন তো উনি নেই, তাই বলছি।”


সাবেক এই চিকিৎসক মনে করেন, তার বিরুদ্ধে চলমান গসিপ ও প্রপাগান্ডার পেছনেও হারুনের ভূমিকা ছিল। যদিও হারুন সরাসরি তার নাম বলেননি, তবুও তিনি ইঙ্গিত বুঝতে পেরেছেন বলে দাবি করেন।


এই বিষয়ে ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।