বিসিবি বস পাপনই থাকছেন


Janobani

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, ২৩শে জানুয়ারী ২০২৪


বিসিবি বস পাপনই থাকছেন
নাজমুল হাসান পাপন | ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নাম নতুন মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসেবে আসার পর থেকেই দেশের ক্রীড়াঙ্গনে জোর গুঞ্জন উঠেছে, মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর বিসিবি বসের দায়িত্ব ছাড়তে পারেন তিনি। যদিও মন্ত্রিত্ব ও বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব একসাথে পালন করা সাংঘর্ষিক নয়।


বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে জানা গেছে, বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ থাকা পর্যন্ত বিসিবির সভাপতির পদে থাকবেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপরই বিসিবিতে নতুন নির্বাচন হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত বোর্ড পরিচালকগণের মধ্য থেকেই পরিচালকেরা নতুন সভাপতি নির্বাচন করবেন। আর এটাই মূলত বিসিবির গঠনতন্ত্র। তার আগ পর্যন্ত পাপনই থাকবেন বিসিবি বসের ভূমিকায়।


আরও পড়ুন: আশরাফুলের সমালোচনার জবাব দিলেন মাশরাফী


এর আগে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ও বিসিবি সভাপতির পদ একই সাথে চালানো প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে পাপন বলেছিলেন, ‘আইনত কোনো সমস্যা নেই এটাই হচ্ছে বড় কথা। কথা হচ্ছে একসাথে যদি দুটোতেই থাকি তাহলে একটা স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি পড়বে। আর এটা সকলের ধারণা এটা অস্বাভাবিক কিছুই না।


বিসিবির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় ছিলেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নাম। তবে বাইরের কারো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় এটা হতে পারে আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সাথে আলাপ করে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই বর্তমান যারা বোর্ডের ডাইরেক্টর পদে আছে তাদের মধ্যে থেকেই একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো ধরনের সুযোগ নেই।’


আরও পড়ুন: সৌম্য ও মুশফিকের ব্যাটে বরিশালের লড়াকু সংগ্রহ 


২০১২ সালের অক্টোবর মাসে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রায় ১১ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সর্বোচ্চ পদধারী নাজমুল হাসান পাপন। টানা চতুর্থবারের মেয়াদে তিনি এই দায়িত্বে আছেন। সবশেষ ২০২১ এর নির্বাচনে বিসিবির পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। আর সেখান থেকে পরিচালকদের ভোটে সভাপতি হন পাপন। আর এই কমিটির মেয়াদ ২০২৫ সালের ৫ অক্টোবর পর্যন্ত।


এমএল/