শ্রীপুরে কাঁঠালের গাছে গাছে মুচিতে ভরপুর


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:২৬ অপরাহ্ন, ২৯শে জানুয়ারী ২০২৪


শ্রীপুরে কাঁঠালের গাছে গাছে মুচিতে ভরপুর
মুচিতে ভরপুর কাঁঠাল গাছের। ছবি: জনবাণী

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাঘের  শুরুতেই কাঁঠালের গাছে গাছে মুচিতে ভরপুর। প্রতিটি গ্রামে কাঁঠাল গাছ জুড়ে শোভা পাচ্ছে মৌসুমী ফল কাঠালের মুচি।


সরেজমিনে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত বছরের মতো এ বছরও প্রতিটি গাছে প্রচুর কাঠালের মুচি ধরেছে। বসতবাড়ির আঙ্গিনা থেকে শুরু করে ফসলী জমির দু’ধারসহ বিভিন্ন জমিতে জাতীয় ফল কাঁঠালের ফলন চোখে পড়ার মতো। গাছের গোড়া থেকে শুরু করে মগডাল পর্যন্ত থোকা থোকা ঝুলে থাকা কাঁঠালের মুচিগুলোই বলে দেয় ফলনের জন্য উপযোগি এই এলাকার মাটি। এবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কাঁঠাল গাছে ব্যাপকহারে কাঁঠালের ফলন লক্ষণীয়। 


আরও পড়ুন: শ্রীপুরে তীব্র শীতে খোলা জায়গায় চলছে পাঠদান


উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কথা হয় বারোতোপা গ্রামের  কাঠাল চাষি জাহাঙ্গীর আলম, ও শ্রীপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের মক্কা মদিনা স্পিনিং মিল এলাকার সজলের  সাথে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই বছর গাছে প্রচুর কাঁঠালের মুচি এসেছে। বড় গাছে ১০০-২০০টি এবং ছোট গাছে ৭০-১০০ টি করে মুচি রয়েছে। যদি আবহাওয়া ঠিক থাকে তাহলে এ বছর প্রতিটি গাছে প্রায় শতাধিক কাঠাল থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কাঁঠাল চাষিরা। তবে কাঠাল পরিপক্ষ হতে আরো ৪০-৫০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।


তারা জানান, আকৃতিভেদে প্রতিটি কাঁঠাল খুচরা ও পাইকারি মূল্য আনুমানিক ৫০ থেকে ১৫০ টাকা হয়ে থাকে। মৌসুমী ফল কাঁঠাল সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠু বাজারজাতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকলে চাষীরা কাঁঠালের ভালো দাম পাবেন বলে জানান এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে এমনটাই প্রত্যাশা করেন কাঁঠাল চাষিরা।


আরও পড়ুন: যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বন্যা জানান, উপজেলায় ২৭ হাজার ৫০০ হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। এবার ২৯৭৩ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের চাষাবাদ হয়েছে। এবারে আমাদের লক্ষ্য মাত্রা রয়েছে ৬২ হাজার ৭০ মেট্রিকটন। কাঁঠালের তেমন কোন রোগ বালাই হয় না তবুও কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বিশেষ সুবিধা ও যথাযথ পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। উপজেলা বিভিন্ন এলাকা জুড়ে প্রতিটি কাঁঠাল গাছেই ব্যাপকহারে মুচি ধরেছে। গত বছরের তুলনায় এবছর আশানুরুপ ফলন আশা করছি।


আরএক্স