নির্বাচনের দিনের সহিংসতায় আহত আ.লীগ নেতার মৃত্যু
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:১২ অপরাহ্ন, ২৯শে জানুয়ারী ২০২৪
ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে কেন্দ্র দখল করা নিয়ে সংঘর্ষে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আহত আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল জলিল (৫৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারী) সকাল ১০ টার দিকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কা প্রাণ গেল ৩ জনের
নিহত আব্দুল জলিল শেরপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং একই এলাকার মৃত কুমেদ আলীর ছেলে।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শেরপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গত ৭ জানুয়ারী বেলা দুইটার দিকে শেরপুর ইউনিয়নের ইমাম হোসেন সরকারী উচ্চ-বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করে সাবেক সংসদ সদস্য ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের সমর্থকরা।
এই নিয়ে আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা প্রার্থী মেজর আব্দুস সালামের সমর্থকরা ফেরাতে গেলে দুই পক্ষের দাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কর্মীর হামলায় গুরুতর আহত আব্দুল জলিল।
প্রথমে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই আব্দুল জলিলকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
পরে মেজর আব্দুস সালাম পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেয়ার পরদিন আহত আব্দুল জলিলকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০ টার দিকে আব্দুল জলির মারা যান।
নান্দাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান বলেন, কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের সর্থকদের হামলায় আব্দুল জলিল গুরুতর আহত হয়।
আজ ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। আব্দুল জলিলের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম এবং হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রেললাইনে বসে খেলছিল গেম, প্রাণ গেল ২ স্কুল ছাত্রের
এবিষয়ে জানতে সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ওসি মো. আব্দুল মজিদ বলেন, শুনেছি ভোটের দিনের মারামারিতে আহত আব্দুল জলিল মারা গেছেন। এই ঘটনায় গত ১৯ জানুয়ারী মামলা হলে তিনজনতে গ্রেফতার করা হয় এবং ১৫ জন আদালতে হাজির হয়। এদের মাঝে একজন জেল হাজতে আছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরএক্স/