আবারও হেরে গেলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চলতি বছর রাজশাহী-১ আসন থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। তবে আশার আলো দেখতে পারেনাই এই নায়িকা। পরে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি , সেখানেও আশাহত হয়েছেন মাহি।

এবার সংরক্ষিত নারী আসনে মাহিসহ মনোনয়নপত্র কেনার দৌড়ে ছিলেন অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, নিপুণ আক্তার, তানভিন সুইটি, শাহনূর, শামিমা তুষ্টি, রোকেয়া প্রাচী, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর ও শমী কায়সারসহ আরও অনেকেই। তারা সবাই নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে বেশ আশাবাদীও ছিলেন।

আরও পড়ুন: তিশার শরীরে জয়ের হাত, রেগে গেলেন মুশতাক

তবে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত মনোনীত এই তালিকায় নায়িকাদের কারও নাম ছিল না। তাদের একজনও সংসদের সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন পাননি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সংসদে মোট ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন আছে। একেকটি রাজনৈতিক দল ছয়টি আসনের বিপরীতে একটি করে সংরক্ষিত নারী আসন পেয়ে থাকেন। এ হিসেবে নিজেদের এবং স্বতন্ত্রদের সমর্থন পাওয়ায় আওয়ামী লীগ মোট আসন পাবে ৪৮টি।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে এসব আসনের বিপরীতে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। মোট ১ হাজার ৫৪৯টি ফরম বিক্রি হয়েছে এদিন। আর এ থেকে দলটি আয় করেছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন: আমার পেছনে দুইটা প্রকাশনী ঘুরেছে, বই প্রকাশ করতে চায়: জায়েদ খান

এবারে নারী সংরক্ষিত আসন থেকে মনোনয়ন পেলেন যারা—

দ্রোপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও), রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়), রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট) আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক, আশিকা সুলতানা (নীলফামারী), জারা জেবিন মাহবুব (চাপাইনবাবগঞ্জ), কোহেরী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর), ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট), রুনু রেজা (খুলনা), খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা), ফারজানা সুমি (বরগুনা), ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী), নাজনীন নাহার রোশা (পটুয়াখালী), নাদিরা বিনতে আমির (নেত্রকোনা), উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ),  পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ), মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা), আরমা দত্ত (কুমিল্লা), বেদৌড়া আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ), মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা) সদ্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, পারুল আক্তার (ঢাকা), শবনম জাহান (ঢাকা), শাম্মী আহমেদ (বরিশাল) আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক, সাবেরা বেগম (ঢাকা), ঝর্ণা আহসান (ফরিদপুর),  নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা),  সাহেদা তারেক দিপ্তী (ঢাকা), অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা), শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা), মাসুদা সিদ্দিক রোজি (নরসিংদী), তারানা হালিম (টাঙ্গাইল) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর) নির্বাচনের পরাজিত হয়েছিলেন, শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল) আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক, অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল) হাসিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা), নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ), ফরিদুন্নাহার লাইলী( লক্ষ্মীপুর) আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক, রুমা চক্রবর্তী (সিলেট), আশরাফুন নেছা (লক্ষ্মীপুর), শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম), কানন আরা বেগম (নোয়াখালী), দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম), ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম) আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক, ফরিদা খানম (নোয়াখালী), ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙামাটি), নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন, নাছিমা জামান ববি (রংপুর) এবং সানজিদা খানম (ঢাকা) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য।

এমএল/