বইমেলায় প্রচুর ভিড়, তবুও বিক্রি কম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৪ অপরাহ্ন, ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবসে সরকারি ছুটি থাকায় বিপুল ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি মুখর হয়ে উঠেছে এবারের অমর একুশে বইমেলা। তবে বিক্রি খুবই কম বলে জানান ব্যবসায়ীরা ।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় দর্শনার্থীদের জন্য বইমেলার গেট খুলে দেওয়া হয়। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলায় বাড়তে থাকে বইপ্রেমী মানুষদের উপস্থিতি।
এদিন বেলা ১১ টায় বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে যায়, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি স্টলেই ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় লেগেই আছে। এছাড়া মেলায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোরদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। তাদের অনেকেই মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বইমেলায় ঘুরতে এসেছেন।
মেলায় ঘুরতে আসা মিতা মল্লিক বলেন, আজ সরকারি ছুটির দিন বলে থাকাস্তায় জ্যামজট কম। তাই পরিবার নিয়ে বইমেলায় ঘুরতে এসেছি। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে।
আরও পড়ুন: চালের বস্তায় বিক্রয়মূল্য লেখা বাধ্যতামূলক করল সরকার
মেলায় আসা কবির মাহমুদ জানান, সকালে বন্ধুদের নিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলাম। পরে সেখান থেকে বইমেলায় ঘুরতে এসেছি। অনেকগুলো স্টল ঘুরে দেখেছি। তবে এখনো কোনো বই কেনা হয়নি।
জলতরঙ্গ পাবলিকেশনের এক বিক্রেতা বলেন, সকাল থেকেই মেলায় বেশ ভিড়। বিকেলে ভিড় আরও বাড়তে পারে। তবে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি। তাই বিক্রি অনেক কম।
আরও পড়ুন: আজ সকাল ৮টায় খুলল বইমেলা
সপ্তর্ষি প্রকাশনীর শিবু কুমার বলেন, “মেলায় দর্শনার্থী অনেক কিন্তু ক্রেতা খুবই কম। অনেকেই আসছেন বই দেখছেন, ছবি তুলছেন। কিন্তু বই কিনছেন না। আমরা চাই মানুষ শুধু বইমেলা ঘুরে দেখা বা ছবি তোলার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বই কিনুক, বই পড়ুক।”
এদিকে, মহান শহীদ দিবস ও মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহর থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়। এদিন রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষের ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এরই মধ্যে শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ভরে গেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদি।
জেবি/এসবি