বিচ্ছেদ ও ক্যারিয়ার নিয়ে যা বললেন জয়া


Janobani

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮:১০ অপরাহ্ন, ৩রা মার্চ ২০২৪


বিচ্ছেদ ও ক্যারিয়ার নিয়ে যা বললেন জয়া
জয়া আহসান | ছবি: জয়ার ফেসবুক থেকে নেওয়া

অভিনেত্রী জয়া আহসান দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয়। দেশীয় সিনেমায় একাধীকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। রঙিন পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন তিনি। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দিয়ে বরাবরই সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয় ছুঁয়ে যান এই নায়িকা। সম্প্রতি তিনি কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন। সেখানেই উঠে আসে তার অভিনয়ে পথচলা, কাজরে প্রতি ভালোবাসা, ছোটপর্দা ছেড়ে বড় পর্দায় নাম লেখানো, দুই বাংলায় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে। এ থেকে বাদ যায়নি ব্যক্তিগত জীবনও। তাকে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল।


এ অভিনেত্রী সম্পর্কে ফিল্মফেয়ারের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। গত বছর তার “কড়ক সিং” ওয়েব ফিল্ম দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয়েছে। এ নায়িকা নারী চরিত্রটিকে অনন্য এক মর্যাদায় নিয়ে গেছেন। তার অভিনয়দক্ষতা হিন্দি সিনেমার দর্শকদের কাছেও বেশ গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।


আরও পড়ুন: চমক নিয়ে বড় পর্দায় আসছেন মিথিলা


এই প্রতিবেদনে অভিনেত্রী নিয়ে আরও বলা হয়েছে, জয়া সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার, ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ একাধিক বিদেশের পুরস্কার যেমন নিজের ঝুলিতে ভরেছেন, ঠিক তেমনি ছয়বার বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ফিল্মফেয়ারের সাক্ষাৎকারের প্রথমেই জয়াকে প্রশ্ন করা হয়, এর আগেও তিনি বলিউডে কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন কি না? উত্তরে জয়া জানান, বেশ কিছু অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ‘কড়ক সিং’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে শুরু করাটা তার কাছে উপযুক্ত সময় বলে মনে হয়েছে। অল্প হলেও চরিত্রটির বিভিন্ন স্তর তাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে।


জয়ার ক্যারিয়ার নিয়ে বিভিন্ন প্রসঙ্গ উঠে আসে আলাপচারিতায়। পরবর্তী সময়ে তার বিবাহবিচ্ছেদ এবং পরে কাজের সাথে মানিয়ে যাওয়া নিয়ে আলাপ হয়। এই প্রসঙ্গে তিনি ফিল্মফেয়ারকে বলেন, উত্থান-পতন প্রত্যেক মানুষেরই জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। এটা অনেকটা যুদ্ধের মতো। সেই সময়ে আমার মানসিক ধারণাটাই অনেক পরিবর্তন হয়ে গেল। আমি পুরোপুরিভাবে কাজের দিকে মনোনিবেশ করি। সাধারণত সেই সময়ে মেয়েরা অনেক কিছু থেকেই আড়াল হয়ে পড়ে। এমনকি ফোকাস থেকেও দূরে সরে যায়। কিন্তু আমার কাজ আমাকে অনেক সান্ত্বনা দিয়েছে। যে কারণে আমি কাজকেই অনেক ভালোবেসেছি। আমি কোনো সময় কাজ থেকে দূরে থাকিনি। আমি আমার এই যাত্রাকে খুব ভালোবাসি। এর মধ্য দিয়েই মানুষেরা আমার প্রশংসা করেন, আর আমি কাজকেই সম্মান করি।


এমএল/