টিআইবির গবেষণা
দেশের ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০০ অপরাহ্ন, ৫ই মার্চ ২০২৪
সড়কে বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী প্রত্যেকটি বাসের জন্য নিবন্ধন ও ৩ ধরনের সনদ বাধ্যতামূলক থাকলেও ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ বাসকর্মী ও শ্রমিকদের মতে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির এক বা একাধিক বাসের নিবন্ধনসহ কোনো না কোনো সনদের ঘাটতি আছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। টিআইবি আরও জানায়, ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন, ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস, ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ধানমন্ডির টিআইবি কার্যালয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: টানা ২ সপ্তাহ উত্তরায় যানজটের শঙ্কা
টিআইবির গবেষক মুহা. নূরুজ্জামান ফারহাদ, ফারহানা রহমান ও মোহাম্মদ নূরে আলম গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস শ্রমিকরা দৈনিক প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। যাদের মধ্যে ৮২ শতাংশের কোনো নিয়োগপত্র নেই, ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশের নেই নির্ধারিত মজুরি।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ সিটি সার্ভিস শ্রমিকদের মতে তাদের বাস সার্ভিস অতিরিক্ত ভাড়া নেয়। ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ আন্তঃজেলা বাস শ্রমিকদের মতে তাদের বাস অতিরিক্ত ভাড়া নেয়। ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ শ্রমিক বলছে, তাদের কোম্পানি ভাড়ার বিপরীতে কোনো টিকেট দেয় না। ৪৩ দশমিক ২ শতাংশ আন্তঃজেলা বাস কোম্পানিতে টিকিট বাতিল ও মূল্য ফেরতের কোনো নীতিমালা নেই।
এতে আরও বলা হয়, সিটি সার্ভিসের ৮৯ দশমিক ২ শতাংশ শ্রমিকদের মতে তাদের কোম্পানির বাস নিয়ম অনুযায়ী, বাসের টায়ার, ইঞ্জিন ওয়েল, ব্রেক সংক্রান্ত সরঞ্জামাদি পরিবর্তন ও রক্ষণাবেক্ষণ করে না। ৪০ দশমিক ৪ শতাংশ সিটি বাস সার্ভিসের কর্মীদের মতে তাদের বাদ নকশা পরিবর্তন করে অতিরিক্ত আসন সংযোজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের রেস্তোরাঁ নবাবী ভোজ সিলগালা
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে আরও তুলে ধরা হয়, ৩৫ দশমিক ২ শতাংশ নারী বাস যাত্রী যাত্রাপথে কোনো না কোনো সময়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বা হতে দেখেছেন। ৮৩ দশমিক ২ শতাংশ নারী সহযাত্রী দ্বারা, ৬৪ দশমিক ৩ হেল্পার দ্বারা, ৪০ দশমিক ৬ কন্ডাকটর দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, পরিবহন শ্রমিকদের খারাপ আচরণ বা যৌন হয়রানির শিকার হলে ৯২ দশমিক ৯ শতাংশ যাত্রী কোনো অভিযোগ করেননি। ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ যাত্রী বলছেন, অভিযোগ জানানোর কোনো ব্যবস্থা নেই।
জেবি/এজে