বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহবানে মানববন্ধন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, ২৬শে মে ২০২৪


বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহবানে মানববন্ধন
ছবি: প্রতিনিধি

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহবানে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক পেনশন সংক্রান্ত জারিকৃত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। 


রবিবার (২৬ মে) কাল ১১টা ৩০ মিনিটে ফেডারেশনের ঘোষিত কর্মসূচির সাথে বাংলাদেশ উণমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একাত্মতা প্রকাশ করে এ মানববন্ধন কর্মসূচী করা হয়।


উক্ত কর্মসূচীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গভীর উদ্বেগ এবং তীব্র ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করছে যে, পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতি চরম বৈষম্যমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ, যা শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। 


আরও পড়ুন: বাউবিতে সেমিনার ও সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর


শিক্ষক নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ভূমিকা জাতির উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। তাদের প্রতি এই বৈষম্যমূলক আচরণ কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। হঠাৎ করেই একটি স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের সুবিধা অক্ষুণ্ন রেখে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ওপর এ ধরনের বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে । এ ধরনের বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন এক দেশে হতে পারে না। আমরা এ ধরনের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করছি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ হারাবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাঁধা সৃষ্টি করবে। 


আরও পড়ুন: বাউবি’তে উদ্ভাবনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত


তারা আরও বলেন, শিক্ষকদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার্থে এবং শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের স্বার্থে অবিলম্বে এই পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কাজের গুরুত্ব ও দায়িত্ব বিবেচনা করে, তাদের জন্য একটি স্বতন্ত্র ও উপযুক্ত বেতন স্কেল প্রবর্তন করতে হবে। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অনতিবিলম্বে বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।


জেবি/এসবি