ডিএনএ টেস্টের জন্য ভারত যাচ্ছেন আনারের মেয়ে ডরিন


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৪৩ অপরাহ্ন, ৪ঠা জুন ২০২৪


ডিএনএ টেস্টের জন্য ভারত যাচ্ছেন আনারের মেয়ে ডরিন
ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসার জন্য গিয়ে ভারতে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন দীর্ঘদিন পর ভারতের ভিসা পেয়েছেন। এমপি আনারের খণ্ডিত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ডিএনএ টেস্টের স্যাম্পল দিতে কলকাতায় যাবেন তিনি।


মঙ্গলবার (৪ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এমপি আনারের এপিএস আব্দুর রউফ।


আরও পড়ুন: অবশেষে কলকাতা যাচ্ছেন আনারকন্যা ডরিন


তিনি বলেন, এমপি সাহেবের মেয়ে ডরিন ও আমি এক সঙ্গে ভারতীয় ভিসা পেয়েছি। ডিবির তদন্ত টিম নেপাল থেকে দেশে আসার পর তাদের সঙ্গে কথা বলে কলকাতায় যাবো।


গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।


বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পর গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।


এ ঘটনায় আনোয়ারুল আজীম ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় বুধবার (২২ মে) ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।


মামলার এজাহারে এমপির মেয়ে উল্লেখ করেন, ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাই।


আরও পড়ুন: এমপি আনারের আসন শূন্য হওয়া প্রসঙ্গে যা জানালেন ইসি আলমগীর


ডরিন আরও বলেন, ১৩ মে আমার বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল- ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেবো। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। মেসেজগুলো বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।


এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজখবর করতে থাকি। আমার বাবার কোনো সন্ধান না পেয়ে বাবার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস কলকাতার বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। বাবাকে খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীসময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাবাকে অপহরণ করেছে। বাবাকে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুজি করেও পাইনি।


জেবি/এজে