নির্মাতা অমিকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম


Janobani

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:০৪ অপরাহ্ন, ১২ই জুন ২০২৪


নির্মাতা অমিকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
কাজল আরেফিন অমি

কোকাকোলার বিজ্ঞাপন নিয়ে ঝড় উঠেছে নেটমাধ্যমে। এ নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। এরই মধ্যে ব্যাচেলর পয়েন্ট খ্যাত নির্মাতা কাজল আরেফিন অমিকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে “সাইবার কমিউনিটি” নামে একটি ফেসবুক পেজ। 


মঙ্গলবার (১১ জুন) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুক পেজে  প্রতিষ্ঠানটির এক স্ট্যাটাসে এই ঘোষণা দেয়া হয়। যেখানে নির্মাতা অমির উদ্দেশে লেখা হয়, “বিজ্ঞাপন নিয়ে আপনি বলছেন, এই বিষয়ে জানেন না। ওকে, সাময়িকভাবে মেনে নিলাম। জীবন বলল- পেশাগত দিক থেকে করেছে, ব্যক্তিগতভাবে সে কোকাকোলা বিষয়ে অবগত না। বিষয়টা এমন হলো- আমি গরুর মাংস খাই না, ঝোল খাই।”


আরও পড়ুন: তোপের মুখে বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে ফেললো কোক


সকল বিষয়টিকে সাজানো নাটক বলে দাবি করে সাইবার কমিউনিটি জানায়, “এবারের ঈদে অমির নির্মিত যে নাটক ‘ফিমেল ৪’ আসছে, সেখানে যদি অভিনেতা জীবন, শিমুল প্রমুখকে দেখা যায় তাহলে কোনো প্ল্যাটফর্মে এই নাটক চলতে দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, সব জায়গা থেকে মুছে ফেলার ওপেন চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে সবাইকে নিয়ে ফেসবুক লাইভ করে সমাধান দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয়া হয় অমিকে।”


এ বিষয়ে নির্মাতা অমি বলেন, “যেই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, সেই বিজ্ঞাপনের সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। তবুও আমাকে নিয়ে কেনো এই সমালোচনা হচ্ছে, বিষয়টি বোধগম্য নয়। আল্টিমেটাম, বয়কট- বিষয়গুলো নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা রকম আলোচনা হচ্ছে। এসব আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি কাজ নিয়েই ভাবছি।’ অমি মনে করেন, মানবিক মূল্যবোধের দিক থেকে কেউ তার ক্ষতি করতে পারেন না।”


আরও পড়ুন: কোকাকোলার বিজ্ঞাপন, অবশেষে ক্ষমা চাইলেন শিমুল


তিনি আরও বলেন, “দেখুন, ফিমেল-৪ নাটক নিয়ে যেই আলোচনা হচ্ছে সেখানে কেবল দুইজন অভিনেতাই সংশ্লিষ্ট নয়। এখানে পুরো ইউনিট জড়িত। আপনি নাটকের ক্ষতি করে তাদের পেটেও লাথি দিতে পারেন না। এই কাজটা আমার খুব যত্ন করে বানানো। বিজ্ঞাপনের সঙ্গে নাটকের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”


নিমার্তা বলেন, “যারা বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তাদের জন্য অবশ্যই দেশে আইন রয়েছে। সাইবার ক্রাইম ইউনিট রয়েছে। কেউ অনৈতিকভাবে আমাকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারেন না। বিজ্ঞাপন নিয়ে যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে আমার কোনো দায় নেই, তবুও একদল মানুষ অমির ক্ষতি করার চেষ্টা করেই যাচ্ছে। বিষয়গুলো অবশ্যই সাইবার ক্রাইম ইউনিট দেখবে।”


জেবি/এসবি