সাবেক আইজিপি বেনজীরের আরও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৬ অপরাহ্ন, ১২ই জুন ২০২৪
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১২ জুন) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।
নতুন করে ক্রোককৃত সম্পত্তি গুলোর মধ্যে রয়েছে, রুপগন্জে ২৪ কাঠা জমি, উত্তরায় ৩ কাঠা, বাড্ডায়৩৯. ৩০ জমির উপর ২ টি ফ্লাট, বান্দরবান জেলায় ২৫ একর জমি, স্ত্রী জিসানের নামে আদাবর থানার পিসিকালচার ৬টি ফ্লাট, গুলশানে বাবার কাছ থেকে পাওয়ার অব এটর্নি মুলে সম্পত্তিতে ৬ তলা ভবন। সিটিজেন টিভির শেয়ার, টাইগার এপারেলসের শেয়ার।
এরআগে, ৬ জুন বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৬২১ বিঘা সম্পত্তি ও চারটি ফ্ল্যাটের রিসিভার নিয়োগে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আরও পড়ুন: বেনজীরের স্ত্রী-কন্যাদের সময় দিল দুদক
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রিসিভার নিয়োগের আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতীয় দৈনিক পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।
জাতীয় ওই দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে বেনজীরের সাভানা রিসোর্টের নিয়ন্ত্রণ নিল জেলা প্রশাসন
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার কাছের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।
অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানকালে তার সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করলো দুদক। আদালত সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ মঞ্জুর করেন।
জেবি/এসবি