গান ছাড়া হয়তো আমার অস্তিত্বই থাকত না: মিমি
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, ২১শে জুন ২০২৪
মিমি চক্রবর্তী ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। বর্তমানে ‘তুফান’ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করে দুই বাংলাতেই আলোচনায় তিনি। কয়েকদিন আগে তার ‘তুফান’ এর প্রচার শেষ করে কলকাতায় ফেরেন এই নায়িকা। এখন কাজের বাইরে বেশ মুক্ত সময় কাটাচ্ছেন এই টলি নায়িকা।
অভিনয়ের পাশাপাশি যেমন রাজনীতিতে সরব তিনি, তেমন গানের প্রতিও রয়েছে তার অনেক ঝোঁক। গানকে ভীষণ ভালোবাসেন মিমি চক্রবতী, শত ব্যস্ততার মধ্যে হলেও একটু সময় বের করেন গান করার জন্য।
আর এরই মধ্যে চলে আসলো বিশ্ব সংগীত দিবস। তাই দিবসটি উপলক্ষ্যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে নিজের গানের প্রতি তার ভালোবাসা ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাজের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত ছিল স্বপ্নের মতো, বলেই কাঁদলেন পরী
মিমি মনে করেন তার জীবনে গান বিষয়টি না থাকলে তার জীবন অচল হয়ে পড়তো। এমনকি বেঁচে থাকতেও তার কষ্ট হত, নিজের অস্তিত্ব হারাতেন। তবে মিমি যে পেশাদার গায়িকা এমন তো না। তার অভিনয় জীবনেই ব্যস্ততা বেশি। এর মাঝেও কীভাবে গান নিয়ে তার সময় কাটে, সে বিষয়টিও ভক্তদের কাছে ভাগ করে নিয়েছেন এই নায়িকা।
মিমির কথায়, ‘গান ছাড়া হয়তো আমার অস্তিত্বই থাকত না। বলা ভাল, জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতেই পারতাম না। আমি পেশার তাগিদে বা খ্যাতির জন্য গান করি না। শুধু মাত্র নিজের জন্যই গান গাই। যে অনুরাগীদের আমার গান ভাল লাগে, তারাই শোনেন। আমি কখনও গান করা শিখিনি। কিন্তু গানের সাথে এতটাই ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছি যে, গান ছাড়া জীবন কখনো কল্পনাও করতে পারি না।’
আরও পড়ুন: গরমে একবারও শাকিবের মুখ থেকে ‘উফ’ বলতে শুনিনি: মিমি
অভিনেত্রী বলেন, ‘মনখারাপের রাতে আমি আর মা বাসায় পুরোনো দিনের গান গাই। আধুনিক গানের তুলনায় লতা-কিশোরের গানের দিকে আমার ঝোঁক একটু বেশি। আমি কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতে গান করেছি, রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। আমার মনে হয় একবার ‘গীতবিতান’-এর প্রেম পর্যায়ের গানের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেলে তার থেকে রোম্যান্টিক আর কী হতে পারে! প্রেম, ভালবাসা বা বিরহের গান, সব হয়তো জানি না, যতটুকু পারি সবই করি আর কি।’
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশে ‘ভাল্লাগছে না’ শিরোনামে গান গেয়ে আলোচনায় এসেছিলেন মিমি চক্রবর্তী। টিএম রেকর্ডসের উদ্যোগে সংগীত পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপসের কথা, সুর ও সংগীতায়োজনে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল ইউটিউবে।
এমএল/