বিকল্প পথে সেন্টমার্টিন নৌ যোগাযোগ স্বাভাবিক হচ্ছে


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৮ অপরাহ্ন, ২২শে জুন ২০২৪


বিকল্প পথে সেন্টমার্টিন নৌ যোগাযোগ স্বাভাবিক হচ্ছে
ছবি: সংগৃহীত

টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ রুটে বিকল্প পথে চলছে নৌ যান চলাচল। যাত্রী ও জরুরি পন্য আনা-নেয়ার জন্য টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ হয়ে সেন্টমার্টিনে চলছে এসব নৌ যান।


শনিবার (২২ জুন) সকালে শাহপরীরদ্বীপ থেকে জরুরি পন্য নিয়ে কিছু সংখ্যক যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন গেছে দুইটি ট্রলার। একই সঙ্গে সেন্টমার্টিন থেকে রোগী সহ ১৫ যাত্রী নিয়ে শাহপরীরদ্বীপ এসেছে দুইটি স্পীড বোট।


স্বাভাবিক রুটের চেয়ে বিকল্প রুটটিতে উত্তাল সাগর পাড়ি দিতে হলেও নৌ যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।


আরও পড়ুন: টেকনাফের প্লাবিত এলাকার পানি নেমে যাচ্ছে


তিনি জানিয়েছেন, শনিবার সকালে শাহপরীরদ্বীপের বদরমোকাম এলাকা হয়ে দুইটি ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা দেয়। ট্রলার দুইটি বেলা ১২ টার দিকে দ্বীপে গিয়ে পৌঁছেছে। এই ট্রলার দুইটিতে ৩ শত গ্যাস সিলিন্ডার, কিছু খাদ্য পণ্য ও ৩০-৪০ জন যাত্রী ছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার দুইটি ট্রলার যোগে দ্বীপের ৩৫ শিক্ষার্থী সহ ৯২ জন যাত্রী নিয়ে দুই টি ট্রলার শাহপরীরদ্বীপে নিরাপদে পৌঁছেছে।


সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্পীড বোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, শনিবার প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে দ্বীপ থেকে রোগী সহ ১৫ যাত্রী নিয়ে দুই টি স্পীড শাহপরীরদ্বীপ নিরাপদে পৌঁছেছে।


এই দুই প্রতিনিধি বিকল্প পথে সীমিত পরিসরে নৌ যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, কোস্টগার্ড, বিজিবি, নৌ বাহিনীর সার্বিক নজরধারী ও নিরাপত্তায় দ্বীপে আসা-যাওয়া স্বাভাবিক হচ্ছে। এতে এখনও কিছুটা আতংক থাকলেও স্বস্তিতে দ্বীপবাসি। যদিও বিকল্প পথটিতে উত্তাল সাগর পাড়ি দিতে হয়। এতে কিছুটা ঝুঁকিও রয়েছে। তবু দ্বীপের প্রয়োজনে এটিকে মঙ্গল মনে করছেন তারা।


আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সংঘাত: সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ থামছে না


মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে গত ১ জুন বিকালে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের যাওয়া হওয়া পন্য সহ ১০ জন যাত্রীর ট্রলারকে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে কয়েক গুলি বর্ষণ করা। গত ৫ জুন সেন্টমার্টিনের স্থগিতকৃত একটি কেন্দ্রে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদের ফলাফল নির্ধারণের জন্য ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোট শেষে ফেরার পথে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ ফেরা ট্রলারকে আবারও গুলি করা হল একই পয়েন্টে। গত ৮ জুন আরও একটি ট্রলারকে গুলি করা হয় একই পয়েন্টে। সর্বশেষ ১১ জুন একটি স্পীড বোটকে লক্ষ করে গুলি বর্ষণ করা হয়। তবে এই গুলি বর্ষণের ঘটনায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরের জলসীমায় ছিল। মিয়ানমারের জলসীমা থেকে ট্রলআর যোগে এগিয়ে এসেই এই গুলি বর্ষণের ঘটনাটি করা হয়। একই ৪ বার গুলি বর্ষণের ঘটনায় কোন হতাহত ছিল না। এই কারণে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ যান বন্ধ হয়ে যায়। এতে দ্বীপে খাদ্য সংকট ও জরুরি আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হল। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ১২ জুন জরুরি সভা করে বঙ্গোপসাগরকে ব্যবহার করে যাত্রীর আসা যাওয়া ও পন্য নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৩ জুন থেকে টেকনাফের সাবরাং মুন্ডার ডেইল উপকুল ব্যবহার করে যাত্রী আসা-যাওয়া শুরু হল। ১৪ জুন কক্সবাজার শহর থেকে পন্য নিয়ে গেল জাহাজ।


এমএল/