দেশের স্বাধীনতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ: সেলিমা রহমান
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৫৮ অপরাহ্ন, ২রা জুলাই ২০২৪
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, দেশ পরাধীন হতে চলছে। দেশের স্বাধীনতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। বর্তমান সরকার বিনা নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে আরেকটি দেশের সহায়তায় ক্ষমতা দখল করে আছে। বাংলাদেশের মানুষের বুকের ওপর পা রেখে উন্নয়নের নামে তারা কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুইবার ভারত সফরে গিয়ে কি করেছেন ? চুক্তি ছিল ক্ষমতায় বসালে সবকিছু দিয়ে দিব। তাই অসম চুক্তি করে দেশের নিরাপত্তা বিঘিœত করে বাংলাদেশের স্বার্থের বাইরে বাংলাদেশকে অন্য দেশের দাস বানানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা দেশের স্বাধীনতা ধংস্ব করতে দিব না।
সোমবার (১ জুলাই) বিকাল ৫টায় ময়মনসিংহ নগরীর হরিকিশোর রায় রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পুকুরে একে একে ভেসে উঠল ভাই-বোনসহ ৩ শিশুর মরদেহ
সমাবেশে দেশবাসির উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনারা যেমনিভাবে এই সরকারের নির্বাচন বর্জন করেছে, তেমনিভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি জন্য আমাদের সাথে রাজপথে নেমে আসুন। আমাদের নেত্রীর মুক্তির লড়াই শুরু হয়েছে। এই লড়াই থামবে না, যতদিন না আমরা নেত্রীর মুক্তি করতে পারব। খালেদা জিয়া মানেই গণতন্ত্রের মুক্তি, স্বাধীনতার মুক্তির। আমরা জানি আমাদের আপোষহীন নেত্রীকে চক্রান্ত করে তারা মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমাদের নেত্রীর মুক্তি না হলে এই আন্দোলন ভয়াবহ রূপ ধারন করবে, এর পরিনতি ভালো হবে না। আমার নেত্রীর আজ জেলখানায় মরতে বসেছে, আমরা তাকে মরতে দেব না। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি, আল্লাহ তুমি শেখ হাসিনার পতন ঘটাও। গ্রামেগঞ্জে খালেদা জিয়ার মুক্তির আওয়াজ উঠেছে। তাই আসুন আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করি দেশনেত্রীর মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ রাজপথ ছাড়ব না।
সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির নবনির্বাচিত যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বৃষ্টি ঝড় উপেক্ষা করে আমরা রাজপথে নেমেছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। নেত্রীর মুক্তি মানেই গনতন্ত্রের মুক্তি, বাংলাদেশের মুক্তি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা বলেছেন, নেত্রী হারলে বাংলাদেশ হেরে যাবে, নেত্রী হাসলে বাংলাদেশ হাসে। এখন আমাদের খেলা শুরু হবে, ওবায়দুল কাদেরের আর খেলা চলবে না। ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করেই আমরা নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে রাজপথে থাকব।
ময়মনসিংহ মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন ও নবনির্বাচিত সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা: মাহাবুবুর রহমান লিটন, উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে কিশোর হত্যাকারী ইমন গ্রেফতার
সমাবেশ যৌথভাবে সঞ্চালনা করছেন ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য শাহ নূরুল কবীর শাহীন, বিএনপিনেতা এবি সিদ্দিক, ফখরুদ্দিন বাচ্চু, এনামুল হক আকন্দ লিটনসহ বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহাবুবুর রহমান, দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোজাম্মেল হক টুটু, উত্তর যুবদলের সভাপতি শামছুল হক, মহিলাদলের সভানেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন পারভীন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জিএস মাহাবুব, উত্তরের সদস্য সচিব মহিবুল হক টুটুল, দক্ষিনের সদস্য সচিব সোহেল খান, ছাত্রদলের মহানগর সভাপতি নাইমুল করিম লুইন, দক্ষিণের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান রানা, উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি নিহাদ সালমান ডুননসহ অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
জেবি/এসবি