নোয়াখালীতে ভারী বর্ষণে আবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:০৫ অপরাহ্ন, ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪


নোয়াখালীতে ভারী বর্ষণে আবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীতে গত দুদিনের নতুন করে ভারী বর্ষণের ফলে নোয়াখালীর সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে। এতে জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে আটটিতেই বন্যার পানি বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জেলার সোনাইমুড়ি, বেগমগঞ্জ, সদর, সেনবাগ ও চাটখিল উপজেলার বন্যার পানি। ফলে এই এলাকার বন্যার্ত মানুষ সীমাহীন কষ্টে দিন পার করছেন।


জানা যায়, নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় গত ১৫ দিন যাবত বন্যার পানি স্থানীয় জলাবদ্ধতায় রুপ নেয়। এতে এখনো পানিবন্দি রয়েছে ১১ লাখ ৫৫ হাজার মানুষ। ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫ হাজার ৪৪১ জন মানুষ অবস্থান করছে। বন্যায় এ পর্যন্ত ১১ জনের প্রাণহানি হয়েছে।


আরও পড়ুন: কক্সবাজারে পানিবন্দি শতাধিক গ্রাম, পাহাড় ধসে নিহত ৬


জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলা শহর মাইজদীতে ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সকাল থেকেও বৃষ্টি হচ্ছিল। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে এখানকার বন্যা পরিস্থিতির আরও বেশি অবনতি হতে পারে।


স্থানীয়রা বলছে, উপজেলার নিন্মাঞ্চলীয় উপজেলা গুলোতে কোথাও ৩-৪ফুট কোথাও কোথাও ৭-৮ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশিত হওয়ার ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় জলাবদ্ধতার পানি নামছে খুবই ধীর গতিতে। এজন্য এই এলাকার মাঝে ব্যাপক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।


কবিরহাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, বন্যা ও জলাবদ্ধতার কবিরহাট উপজেলার মানুষ বেশ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তবে আমাদের দাবি পানি নিষ্কাশিত হওয়ার সঠিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে দ্রুত বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি সমস্যা সমাধানের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।


আরও পড়ুন: বাড়ছে নদীর পানি, প্লাবিত হতে পারে ৮ জেলার নিম্নাঞ্চল


অপরদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে শুক্রবার বিকেলে ১০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। ৫টি ট্রলারসহ এখনো ১৭ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছে।


নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, নোয়াখালীতে বন্যা পরবর্তী জলাবদ্ধতা আগে থেকেই ছিল। এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে জেলা প্রশাসন আগের মতই মানুষের পাশে দাঁড়াবে।


এমএল/