পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে দুই ছাত্রলীগ নেতা


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:২৬ অপরাহ্ন, ২রা অক্টোবর ২০২৪


পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে দুই ছাত্রলীগ নেতা
ছবি: প্রতিনিধি

পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পদধারী দুই নেতা। তারা হলেন শাখা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শাহিন পাশা ও নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন। 


বুধবার (২ অক্টোবর) আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা শেষে ঘটনাটি ঘটে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের হাত থেকে ছাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, পরিবহন প্রশাসক ও বিভাগের সভাপতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সহ-সমন্বয়করা তাদের ইবি থানায় সোপর্দ করেন।


আরও পড়ুন: রাবিতে পিআইবির ‘শিকারি সাংবাদিকতা’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত


এবিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা খবর পেয়েই তাদের উপর চড়াও হতে থাকে। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের আইন নিজের হাতে না তুলে নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রক্টরের সহযোগিতায় তাদের পুলিশ সোপর্দ করা হয়েছে।


নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, আমি মাত্র নিয়োগ পেয়েছি, এখনো দায়িত্ব বুঝে পাইনি। এর মধ্যে দুপুরের দিকে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি আমাকে ফোন দেন যে তার বিভাগের ছাত্রলীগের পদধারী দুজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসে জনরোষের মুখে পড়েছে। খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক সেখানে ছুটে যাই। পরে ছাত্র-উপদেষ্টা, পরিবহন প্রশাসক, বিভাগের সভাপতি ও অন্যান্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় তাকে নিরাপদে ক্যাম্পাস থেকে বের করে পুলিশি হেফাজতে দিয়ে আসি। তাদের জনরোষের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে আমি নিজেও বুকে আঘাত পেয়েছি।


আরও পড়ুন: রাবিতে এবছর ভর্তির সুযোগ পেলেন ১৮ জন বিদেশি শিক্ষার্থী


ইবি থানায় ওসি মামুন রহমান বলেন, দুইজন ছাত্রলীগ পদধারী শিক্ষার্থী পরিক্ষা দিতে আসলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আটক করে। পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদেরকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে নিয়ে আসে। আমরা গ্রহণ করেছি। আমাদের ডেটাবেইসে যদি তাদের নামে কোনো অভিযোগ থাকে সেক্ষেত্রে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।


এমএল/