ধর্ষিতাকে না চিনেও ৩৭ দিন কারাবাস ইসলামি আন্দোলনের কর্মীর


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, ১০ই অক্টোবর ২০২৪


ধর্ষিতাকে না চিনেও ৩৭ দিন কারাবাস ইসলামি আন্দোলনের কর্মীর
ছবি: প্রতিনিধি

ধর্ষণ হওয়া মেয়েটি কখনও দেখেনি, নেই তাদের পরিবারের পরিচয়, তবুও ধর্ষণ মামলার ২ নাম্বার আসামি হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে ইসলামি আন্দোলনের কর্মী মোখছেদুল রহমানের। কারাবাস থেকে ফিরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পূর্ব শত্রুতার জেরেই তাকে ফাঁসিয়েছেন মিথ্যা মামলায় এমনই অভিযোগ মোখছেদুলের। ঘটনাটি কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর ও মিঠাগঞ্জ দক্ষিণ চরপাড়া গ্রামের আলী আহম্মেদ মুসল্লীর ছেলে মোখছেদুলের সাথে এমন ঘটনা ঘটে।


২৪/২/২৪ তারিখে নারী শিশু ট্রাইব্যুনালে মহিপুর থানায় মামলাটি রুজু করার নির্দেশ দেন আদালত। এই মামলায় দেখা যায় রমজান পুরের ১৩ বছরের শিশুকন্যা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে ২ নাম্বার আসামি হিসেবে গ্রেফতার হন এই যুবক। জেল খেটে বের হওয়ায় পড়ে তাকে এলাকার মানুষের কথায় আসামি দিয়েছিলেন এমন কথা শোনা যায় রেকর্ডে, মামলা থেকে মুক্ত করতে দাবি করেন ২ লক্ষ টাকা। এই মামলার এজাহারে দেখা যায় ১৩ বছরের এই শিশুকন্যাকে ১০ বছর আগ থেকেই উত্তপ্ত করে আসছিলেন এই যুবক যেটা নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে চাঞ্চলের তিন বছরের একটি মেয়ের কিভাবে উত্তপ্ত করেন এটা নিয়ে চলছে কানাঘোষা।


আরও পড়ুন: পূজামন্ডপে যেকোন অপতৎপরতা মোকাবেলায় নৌবাহিনী প্রস্তুত


পাশাপাশি ধর্ষণ মামলার কাগজপত্র বিভিন্ন যায়গায় দেখিয়ে তাকে হয়রানি করে আসছেন পরিবারটি এই হয়রানি থেকে বাঁচতে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন মোখছেদুল। 


এই ধর্ষণের ঘটনা প্রচার হওয়ার পড়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন এই যুবক। দোকানে ফেরি করে মালামাল দেওয়া এই যুবকের ব্যবসাও প্রাই বন্ধ হতে বসেছে। তিনি এর সুষ্ঠু নিরপেক্ষ বিচার চান আইনের কাছে।  


এলাকার অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছোট বেলা থেকেই মোখছেদুল ধার্মিক ছিলেন ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক ব্যবসা বানিজ্যসহ জীবন যাপন করেন। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সত্যিই হতাশা জনক ছেলেটি একদম ভেঙে পড়েছেন মামলাটি তদন্ত করে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ বিচারের দাবি জানান এলাকাবাসী। 


আরও পড়ুন: দুমকিতে ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে প্রস্তুতি মূলক সভা


প্রতিবেদকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় মামলার বাদি রাবেয়া বেগমের সাথে প্রথমে মোখছেদুলকে ধর্ষণের হিসেবে বললে রেকর্ডের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গরিব মানুষ মামলায় চালাতে চাইনি তাই তাকে আমার মেয়ের বিয়ের খরচ হিসেবে টাকা চেয়েছিলাম তার নাম বাদ দিবো বলে। 


এমএল/