হিজাব নিয়ে কটূক্তি

শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুলের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:২৭ অপরাহ্ন, ১২ই অক্টোবর ২০২৪


শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুলের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
ছবি: প্রতিনিধি

স্কুল শিক্ষিকাকে হেনস্তা ও হিজাব নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে লাখাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হকের চাকরিচ্যুতি ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।


শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে কালাউক বাজার (উপজেলা ফটকের সামনে) এ মানববন্ধন করা হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেন।


আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনা, পটুয়াখালীতে চলছে শোকের মাতম


মানববন্ধনে বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে অপসারণ না করা হলে উপজেলা শিক্ষা অফিস ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।


বক্তারা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হকের চাকরিচ্যুতি ও শাস্তির দাবি জানিয়ে আরো বলেন, প্রাইমারি স্কুলের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ শিক্ষক যখন নারী, সেখানে থানার প্রধান শিক্ষা অফিসার হিসেবে কোনো নারীলোভী ও নারী হেনস্তাকারী কর্মকর্তা কর্মচারী কিছুতেই থাকতে করতে পারে না, পারবে না। তাই অতিশিগগিরই এই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।


বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে পর্দানশীন নারীদের হেনস্তার অভিযোগ আছে। হিজাব পরিহিত পর্দানশীন নারীরা কোন কারণে অফিসে গেলে তিনি তাদেরকে হিজাব খোলাতে বাধ্য করেন। এমনকি পরিদর্শনে বিভিন্ন স্কুলে গেলেও সেখানে মুখ ঢেকে রাখা মহিলাদের নানাভাবে মুখ খুলতে বাধ্য করতেন। এটা স্পষ্টত তার বিকৃত মানসিকতার পরিচয়। এবং মুসলিম নারীদের শ্লীলতাহানি ও ধর্মীয় অধিকার হরণ। এসময় স্থানীয় অন্যান্য ভুক্তভোগীরাও তার অশোভন আচরণসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।


এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা ই-মেইল ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেনস্তার শিকার শিক্ষিকার স্বামী মুহিম মাহফুজ।


আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ


বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মিসবাহ উদ্দিন সবুজের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মুড়িয়াউক দারুচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল হাই, শায়েস্তাগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মুফতি শরিফ উদ্দিন, মাওলানা আলী আজম। মাওলানা আশরাফুল ইসলাম (সোহাগ), মাওলানা মুখলিছুর রহমান, মুফতি মুজাহিদুল ইসলাম (মাহফুজ), মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন, মাওলানা আব্দাল হুসাইন, মাওলানা মঈনুদ্দিন। মাওলানা ফাইজুল ইসলাম ফয়েজী, হাফেজ জুনাইদ আহমেদ, মুফতি হিফজুল ইসলাম, মাওলানা আকরাম হুসাইন, মুহাম্মদ শাহিন আলম, রাফিজুল ইসলাম, ওয়াহেদ মুরাদ প্রমুখ।


আরএক্স/