কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ‘প্রতিমা বিসর্জন’ ঘিরে জনস্রোত


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, ১৩ই অক্টোবর ২০২৪


কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ‘প্রতিমা বিসর্জন’ ঘিরে জনস্রোত
ছবি: প্রতিনিধি

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ‘বিজয়া সম্মেলন’। যেখানে নানা ব্যক্তিবর্গের বক্তব্য, ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষে হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার।


রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর দুই টা থেকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠান শুরু হয়। এসময় কক্সবাজার জেলা ও আশপাশের এলাকার অর্ধশতাধিক মন্ডপ থেকে ট্রাক যোগে আসতে শুরু করে প্রতিমা। একই সঙ্গে পর্যটক ও পূজারিরা সাথে স্থানীয় দর্শনার্থীরা আসতে থাকে।


বিকাল সাড়ে ৩ টার আগে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত হয়ে উঠে জনস্রােতের স্থান। লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে ঘিরে বালিয়াড়িতে একের পর এক প্রতিমা সমুহ রাখা হল। আর জনস্রােত মিশে যায় সৈকতের উত্তরের শৈবাল, কবিতাচত্বর পয়েন্ট আর উত্তরের সী গাল, সুগন্ধা থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত।


আরও পড়ুন: পেকুয়া শিক্ষক আরিফকে হত্যার পরিকল্পনাকারী যুবলীগ সভাপতি গ্রেফতার


যেখানে কমপক্ষে ৩ লাখের অধিক মানুষের সমাগমের মধ্যে বিকাল সাড়ে ৫ টায় সৈকতের ঢেউতে ‘মা দূর্গা কি, জয়’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে একে একে ভাসিয়ে দেয়া হয় প্রতিমা সমুহ।


কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু বলেন, সৈকতে ৩ লাখের অধিক মানুষের সমাগমের মধ্যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে। যেখানে ৫০ টির অধিক প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে।


তিনি বলেন, এছাড়া একই সময়ে কক্সবাজারের রামুর বাঁকখাল নদী, চকরিয়ার মাতামুহুরী, টেকনাফের সাগর ও নাফনদী, উখিয়ার ইনানী সৈকত ও রেজুনদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন: কুতুবদিয়ায় নোঙর করে রাখা এলপিজি জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে


সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চের ‘বিজয়া সম্মেলন’ সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।


বিশেষ অতিথি ছিলেন, র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, কক্সবাজারে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মাহফুজুল ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না, সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল, এবি পার্টির জেলা যুগ্ম আহবায়ক এড. গোলাম ফারুক কায়সার, জামায়াত নেতা শহীদুল আলম বাহাদুর প্রমুখ।


এমএল/