ড. ইউনূসের পরিকল্পনায় বিপিএলে আসছে 'নতুনত্ব'

বিপিএল মানে যেন ‘বিতর্ক প্রিমিয়ার লিগ’, বিপিএল মানেই যেন ‘বকেয়া প্রিমিয়ার লিগ’
বিজ্ঞাপন
বিপিএলের ১১তম আসর দরজায় কড়া নাড়ছে, কিন্তু এখনো দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি লিগ কাঠামোগত স্থিরতা খুঁজে পায়নি। প্রথম দিকে বিপিএল দর্শকদের আকৃষ্ট করলেও সময়ের সঙ্গে পিএসএল ও সিপিএলের মতো অন্যান্য লিগের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে। ইতোপূর্বে ১০টি আসর পার করে ফেললেও দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি এখনো নানা সমস্যায় ধুঁকছে। বিভিন্ন বিতর্ক আর সমালোচনা যেন বিপিএলের পিছই ছাড়ছে না। বিপিএল মানে যেন ‘বিতর্ক প্রিমিয়ার লিগ’, বিপিএল মানেই যেন ‘বকেয়া প্রিমিয়ার লিগ’!
তবে এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যেন পরিবর্তনের পথে হাঁটছে। সভাপতি ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহযোগিতায়, তারা বিপিএলের জন্য নতুন নতুন পরিকল্পনা তৈরি করছে। এই পরিকল্পনার পেছনে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি অলিম্পিকের মতো বৈশ্বিক ইভেন্টগুলোর ডিজাইনেও ভূমিকা রেখেছিলেন। এবার তিনি তার অভিজ্ঞতা দিয়ে বিপিএলের জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য বিসিবিকে সহযোগিতা করছেন।
বিজ্ঞাপন
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে নিয়ে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (১৩ অক্টোবর) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এক সভার পর ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, 'বিপিএলকে একটা টুর্নামেন্ট হিসেবে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে চাই। বিসিবি অবশ্যই বড় ভূমিকাটা রাখবে। তবে আমার মনে হয়েছে, আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু অলিম্পিকের মতো ইভেন্টের ডিজাইনে সাহায্য করতেন, তিনি সর্বশেষ অলিম্পিকেও বড় একটা ভূমিকা রেখেছেন, বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে আমরা যদি তাঁর সেই অভিজ্ঞতা ব্যবহার না করি, সেটা দুর্ভাগ্যজনক হবে।'
বিজ্ঞাপন
আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু অলিম্পিকের মতো ইভেন্টের ডিজাইনে সাহায্য করতেন, তিনি সর্বশেষ অলিম্পিকেও বড় একটা ভূমিকা রেখেছেন, বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে আমরা যদি তাঁর সেই অভিজ্ঞতা ব্যবহার না করি, সেটা দুর্ভাগ্যজনক হবে
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ‘বিসিবির প্রেজেন্টেশন অনুযায়ী, দর্শকদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য দেশি সেলিব্রেটি এবং কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের যুক্ত করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী বেশ কিছু নতুনত্ব যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত করা হবে।’
বিজ্ঞাপন
কীভাবে তা করা হবে, সেটা নিয়ে এখনই বিস্তারিত না জানালেও সামান্য ধারণা দেওয়া হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। ক্রীড়া উপদেষ্টা যেমন বলেছেন, দর্শকদের আগ্রহ ও সম্পৃক্ততা বাড়াতে দেশের সেলিব্রেটি এবং কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘নতুন শুরু সব সময়ই করা যায়, যেখান থেকে আমরা উত্তরোত্তর ভালো করতে পারি। চমৎকার কিছু আইডিয়া আছে। আমরা চেষ্টা করব সেগুলো বাস্তবায়ন করতে। আপনারা এই বিপিএলে অবশ্যই নতুন কিছু দেখতে পাবেন, যেটাতে আপনাদের সম্পৃক্ততা থাকবে। দর্শক, মিডিয়াৃসবাই যেন টুর্নামেন্টটার সঙ্গে সম্পৃক্ততা অনুভব করে।’
বিপিএলের হারানো মর্যাদা ফিরিয়ে আনার জন্য বিসিবি বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। মিরপুর, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের স্টেডিয়ামগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে সেগুলো দর্শকবান্ধব হয়। বিশেষ করে স্টেডিয়ামে মানসম্মত খাবার সরবরাহ এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়েও নজর দেওয়া হচ্ছে। স্টেডিয়ামের পরিসর বাড়ানোর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা চলছে।
বিজ্ঞাপন
আসন্ন বিপিএলের আসর শুরু হবে ২৭ ডিসেম্বর থেকে, তার আগে আগামীকাল সোমবার প্লেয়ার্স ড্রাফটের মাধ্যমে দলগুলো গঠন করা হবে।
বিজ্ঞাপন
এমএল/








