ডানার প্রভাব: ইনানী নৌবাহিনীর জেটিটি ভেঙে দ্বিখণ্ডিত
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:০৮ অপরাহ্ন, ২৪শে অক্টোবর ২০২৪
কক্সবাজারে উখিয়ার ইনানী সৈকতের নৌবাহিনীর জেটিটি ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় ডানা’র প্রভাবে জোয়ারের পানির তোড়ে একটি বার্জের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে জেটি ভেঙে যাওয়ায় চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরুতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণেও দেখা দিয়েছে বিপত্তি।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় 'ডানা', বাড়লো সতর্ক সংকেত
বৃহষ্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে মেরিন ড্রাইভের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানী এলাকায় অভিজাত হোটেল রয়েল টিউলিপের সামনের সাগরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন উখিয়ার ইউএনও তানভীর হোসেন।
তিনি জানান, কি কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে তা বিস্তারিত জানতে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। বুধবার মধ্যরাতের পর ২/৩ টার সময় ছিল পূর্ণ জোয়ার। এসময় ঢেউয়ের প্রচন্ডতায় জেটির সাথে বাঁধা সংস্কার কাজে ব্যবহৃত একটি ছোট বার্জের ধাক্কায় জেটিটি ভেঙে গেছে। এতে জেটিটির বড় একটি অংশ ভেঙ্গে দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়।
ইনানী জেটিঘাটস্থ এলাকার চা দোকানী আব্দুল মাজেদ বলেন, বার্জটি জেটির সাথে বেঁধে রাখায় মধ্যরাত থেকে বাতাসের ধাক্কায় বড় বড় আওয়াজ শুনা যাচ্ছিল। কিন্তু এসময় কেউ জেটিতে এবং বার্জে ছিল না।
এমনকি রাত ২/৩ টার দিকে জেটি ভেঙে যাওয়ার পরও সকাল ১০ টা পর্যন্ত কোন লোককে জেটির আশেপাশে দেখা যায়নি বলে জানান, স্থানীয় এ দোকানী।
জেটি সংলগ্ন তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপের বৈদ্যুতিক শাখার একজন কর্মী জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে ছোট আকারের তিনটি নৌযান জেটিতে কি জানি কাজ করছিল। এসব নৌযান গুলো সরিয়ে না রাখার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন তিনি।
শেখ হাসিনা সরকারের সময় ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক নৌমহড়া অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী জেটিটি নির্মাণ করেছিল। এটি দীর্ঘ সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে নির্মাণের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদীরা শুরু থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল।
এমনকি ২০২২ সালে পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের দায়ের করা রীটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত রুল জারি করেছিলেন জেটি অপসারণের জন্য।
আরও পড়ুন: আগামী ৪৮ ঘণ্টা কেমন থাকবে আবহাওয়া?
কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আনম হেলাল উদ্দিন জানান, আদালতের রুল জারির পরেও জেটি অপসারণ করা হয়নি।
এদিকে গত বছর থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকবাহী জাহাজ আসা যাওয়া করছিল ওই জেটি দিয়ে। আগামি পহেলা নভেম্বর থেকেও জেটি দিয়ে দ্বীপে যাতায়াতের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল জাহাজ কোম্পানীগুলোর পক্ষ থেকে।
আরএক্স/