সৈকতের ঝাউবন থেকে ছিনতাইকারি চক্রের ৬ সদস্য আটক


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, ৮ই নভেম্বর ২০২৪


সৈকতের ঝাউবন থেকে ছিনতাইকারি চক্রের ৬ সদস্য আটক
ছবি: প্রতিনিধি

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঝাউবন থেকে কয়েকটি ছোরাসহ ছিনতাইকারির ৬ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব। র‌্যাব জানিয়েছে, আটক দূর্বৃত্তরা সমুদ্র সৈকতসহ আশপাশের এলাকায় পর্যটকদের টার্গেট করে ছিনতাই সংঘটিত করতো।


আরও পড়ুন: কক্সবাজারে পুকুরে গোসলে নেমে দুই শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু


র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর)  মধ্যরাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট সংলগ্ন ঝাউবন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়েছে।


আটককৃতরা হল, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের নতুন জেল গেইট এলাকার মৃত আব্দুল সেলিম ওরফে আব্দুস সালামের ছেলে মো. আইয়ুব (৩৪), একই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. তোফাজ্জল হোসেন ওরফে নয়ন (২৪), চাইল্ল্যাতলী পানেরছড়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে শফিউল করিম (২৮), কক্সবাজার পৌরসভার বাদশাঘোনা এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে হৃদয় নিশান ওরফে মানিক (২০), পাহাড়তলী এলাকার মৃত আলী জোহরের ছেলে মাহমুদ ইমাম শরীফ (২০) এবং রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের লট উখিয়ারঘোনা এলাকার মমতাজ মিয়ার ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (১৮)।


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট সংলগ্ন ঝাউবনে কতিপয় দূর্বৃত্ত অপরাধ সংঘটনের উদ্দ্যেশে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করার খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ৮ থেকে ১০ জন লোক দিক-বিদিক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৬ জনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।


‘পরে আটকৃতদের শরীর তল্লাশী করে পাওয়া যায় ৬ টি ছোরা ও ১ টি ছোরার বাটন।’


আরও পড়ুন: কক্সবাজারে খড়ের গাদায় পুঁতে রাখা বিদ্যুতের তারে প্রতিবেশীর মৃত্যু


র‌্যাবের এ গণমাধ্যম কর্মকর্তা বলেন, “ আটকরা স্বীকারোক্তি দিয়েছে, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের টার্গেট করে সুযোগ বুঝে মোবাইল, নগদ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত। তারা ছিনতাইয়ের উদ্দ্যেশে গভীর রাতে সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন ঝাউবনে অবস্থান করছিল। 


আটকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।


এসডি/