শ্রীপুরে ফোনে স্ত্রীকে বিদায় বলে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিল স্বামী


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৪৭ অপরাহ্ন, ১৪ই মার্চ ২০২৫


শ্রীপুরে ফোনে স্ত্রীকে বিদায় বলে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিল স্বামী
ফাইল ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে বিদায় বলে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন খায়রুল বাসার সুজন (৩৫) নামের এক পোশাকশ্রমিক। 


বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।


নিহত সুজন কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার কুরশা গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে শ্রীপুর উপজেলার চন্নাপাড়া গ্রামের জনৈক সুলতানের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।


আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ ঘন্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়


স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন তিনি। এ সময় চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়। দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুরের স্টেশনমাস্টারকে জানানো হয়।


নিহত ব্যক্তির স্ত্রী রাজকুমারী ওরফে ফাতেমা বলেন, ‘সকালে একসঙ্গে বাসা থেকে বের হই। পরে আর বাসায় ফেরেনি। বিকেলে কোথায় আছে জানতে ফোন করি। তখন সে জানায়, শ্রীপুরে। একটু পর ফোন করে শুধু বলে, বিদায়। তখন আমি শুধু ট্রেনের শব্দ শুনতে পাই। এরপর বারবার ফোন করলে সে ফোন ধরেনি। সন্ধ্যার পর দুর্ঘটনার খবর পাই। ঘটনাস্থলে এসে স্বামীর মরদেহ দেখতে পাই। আমাকে বিদায় বলে সে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছে।’ কী কারণে তাঁর স্বামী চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো কথা বলেননি তিনি।


নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই আশিক বলেন, ‘ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ভাইকে চিনতে পারি। তিনি আমার চাচাতো ভাই। শ্রীপুরের চন্নাপাড়া গ্রামের সুলতানের বাড়িতে স্বপরিবার ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করত।’


আরও পড়ুন: ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ


এ বিষয়ে শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার শামীমা জাহান বলেন, খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।


জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাদিরউজ্জাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এমএল/