মাঠ প্রশাসনে অস্থিরতা, পিছিয়ে যেতে পারে নির্বাচন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, ১৪ই মার্চ ২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। সংস্কার ছাড়াই নির্বাচন, ন্যুনতম সংস্কার দিয়ে নির্বাচন নাকি সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্বাচন ইত্যাদি বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে জোর বিতর্ক। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর আকাঙ্ক্ষা দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা, পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করা। এ লক্ষ্যে তাদের ৩১ দফা প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা চলমান। অপরদিকে, নবগঠিত এনসিপি এবং জামায়াতের আগ্রহ মূলত সংস্কার নিয়ে। অর্থাৎ, সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হবার চিন্তাভাবনা করছেন তারা। এ লক্ষ্যে এনসিপির নেতা নাহিদ ইসলাম নতুন সংবিধানের মাধ্যমে সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন।
এছাড়া, তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চান। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো এটাকে নির্বাচন পেছানোর কৌশল হিসেবেই দেখছেন। সরকার বারবার এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চের মাঝে নির্বাচনের কথা বললেও নির্বাচনমুখী দলগুলো তাতে আশ্বস্ত হতে পারছেনা।
উল্লেখ্য যে, নির্বাচন দ্রুত হোক বা দেরিতে, নির্বাচনের জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মাঠ প্রশাসন এবং পুলিশ। সাধারণত, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা প্রশাসক রিটার্নিং অফিসার এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। ৫ আগস্টের পর পুলিশ এখনো পুরোপুরি সক্রিয় হতে পারেনি, অন্যদিকে প্রশাসনে চলছে অস্থিরতা। আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী সিনিয়র কর্মকর্তাদের অবসরে পাঠানো হয়েছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী জেলা প্রশাসকদের ওএসডি করা হয়েছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আলোচনা হচ্ছে ২০১৪ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সে বিষয়ে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
এতে মাঠ প্রশাসন এবং সচিবালয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাঝে অনিশ্চয়তা এবং আশঙ্কা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক একটি খবরে দেখা যায়, জেলা প্রশাসক নিয়োগের লক্ষ্যে প্রণীত ফিটলিস্টের মৌখিক পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন নি। উল্লেখ্য যে, সামনে নিয়োগ পেতে যাওয়া জেলা প্রশাসকরাই নির্বাচনকালীন সময়ে জেলা প্রশাসক থাকবেন। মাঠ প্রশাসনের অন্যতম আকর্ষণীয় পদ জেলা প্রশাসক হতে এ অনীহার কারণ বোঝা কঠিন নয়। কেননা, যে অপরাধে বিগত আমলের নির্বাচনকালীন কর্মকর্তাদের শাস্তি প্রদান করা হচ্ছে, একই অপরাধে বর্তমানের কর্মকর্তারাও ভবিষ্যতে একই পরিণতির শিকার হবেন কিনা সে বিষয়ে তারা সন্দিহান। এমতাবস্থায়, সৎ, দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়নের বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এছাড়াও, মাঠ প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা একটি চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার প্রধান দায়িত্ব পুলিশ পালন করে থাকে। নির্বাচনকালীন বিভিন্ন সহিংস পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকাই মুখ্য হলেও বর্তমানে পুলিশের সক্ষমতা মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। তাছাড়া, মব জাস্টিস প্রতিরোধে সরকারের ব্যর্থতা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের তাড়ানোর নামে অরাজনৈতিক নিরপেক্ষ, দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তাদেরও হয়রানি করায় বর্তমানে নির্বাচন সম্পন্ন করবার মতন প্রশাসনিক শক্তি আছে কিনা, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।
মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্টের পরের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন মুখের আগমন ঘটেছে, যারা সরকার পরিচালনার নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত নন। এর ফলে সরকারি দপ্তরে যেয়ে অন্যায্য দাবিদাওয়া এবং দাবি আদায়ে সফল না হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মব লেলিয়ে দেয়া প্রশাসনকে গতিশীল হতে দিচ্ছে না। বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক সরকার না থাকায় রাজনৈতিক ক্ষমতার স্টেকহোল্ডার একাধিক। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ সরকার নির্ধারিত নীতি বাস্তবায়নে বিভিন্নমুখি চাপ অনুভব করছেন। একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রত্যেক উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে লটারি করতে বলা হলেও ইউএনও এর কাছে অনেক রাজনৈতিক দল এবং কিছু রাজনৈতিক দলের একাধিক গ্রুপ এসে ‘তালিকা’ ধরিয়ে দিচ্ছে যেনো তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বাছাই করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব কক্সবাজারে পৌঁছেছেন
এটা শুধু খাদ্যবান্ধবের ক্ষেত্রেই নয়। টিআর, কাবিখা, এডিপি, ভিজিএফ ইত্যাদি সামাজিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নে ইউএনও এবং জেলা প্রশাসকগণ এই চাপ সামলাচ্ছেন। এছাড়াও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিদিনই মারামারির ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় তার এ কথার সত্যতা পাওয়া যায়। ইউএনওর বিরুদ্ধে মানববন্ধন, ঝাড়ু মিছিল, ঘেরাও, এমনকি প্রশাসনের উপর হামলার ঘটনাও প্রায় নিয়মিত ঘটছে। ঘটনাগুলো সম্পর্কে অনুসন্ধানে সিংহভাগ ঘটনাই তথাকথিত কোন এক ‘গ্রুপ’ কে অন্যায় সুবিধা না দেয়ার ফলাফল হিসেবে দেখা গেছে।
পুলিশে ব্যাপকভাবে বদলি হওয়ায় এলাকায় অপরাধের ধরণ নতুন পদায়িতরা এখনো বুঝে উঠতে পারেন নি। তাছাড়া, আগের সোর্স সিস্টেম পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে। এতে, চুরি ছিনতাই ডাকাতি, ধর্ষণ, খুনসহ অন্যান্য অপরাধের ঘটনা আগের চেয়ে বেড়েছে। এছাড়াও, জুলাই আগস্টে জনবিরোধী ভূমিকার কারণে চাইলেও পুলিশের পক্ষে বলপ্রয়োগ করা সম্ভবপর হচ্ছেনা। তাছাড়া, সেনাবাহিনী মাঠে থাকায় পুলিশের ভূমিকা কিছুটা গৌণ হয়ে দেখা দিয়েছে বলে পুলিশ সদস্যদের থেকে জানা যায়।
বিরাজমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে নির্বাচন, সংস্কার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে যে আলাপ আলোচনা চলছে, তাতে মাঠ প্রশাসনের অবস্থা গুরুত্ব পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। তাছাড়া, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাঝে চাপা অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তাদের আন্দোলনও চলমান। তারা কর্মবিরতিসহ নানা কর্মসূচি নিয়মিত পালন করে যাচ্ছেন। সরকারি চাকরি করে তারা আন্দোলন করতে পারেন কিনা, সে বিষয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন উত্থাপন করতে দেখা গেছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পদনাম পরিবর্তন করতে সুপারিশ করেছে।
এই প্রস্তাব সহজাত ঈর্ষার প্রতিফলন হিসেবে হিসেবেই দেখছে অনেকে কেননা এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের কারণে মাঠ প্রশাসন কর্তৃক নাগরিক সেবার সম্ভাব্য উপকার নিয়ে আলোকপাত করা হয়নি। এছাড়া, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবসমূহ স্বল্প মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি এই তিনভাগে ভাগ করা ছিলো। দেখা যায়, “ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিস সংস্কার” সংক্রান্ত সুপারিশটি স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য হলেও তা সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন আপাতত স্বল্প মেয়াদি প্রস্তাবগুলো নিয়েই কাজ করবে মর্মে বলা হলেও যে ২৬ টি প্রস্তাব বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে পাঠানো হয়েছে সেখানে “সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (SSB) বাতিল এবং সচিব নিয়োগে মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন ও সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস গঠন” সংক্রান্ত প্রস্তাবনাও আছে। অথচ, সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাবনাটি ছিলো মধ্য মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য। এছাড়া, সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস গঠনের ধারণাটি ইতোপূর্বেই অকার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে এখনো চিঠির জবাব দেয়নি ভারত
অযাচিতভাবে এই প্রস্তাবনাটি টেনে আনা উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করছে অনেকে। এছাড়া, এর মাধ্যমে উপসচিব পদে প্রশাসন ও অন্যান্য ক্যাডারের ৫০-৫০ বন্টন করার দ্বন্দ্বের বিষয়টি উস্কে দেওয়া হচ্ছে। যদিও সংস্কার কমিশন ৫০-৫০ সুপারিশ করা করেনি, কেবল যৌক্তিক বলেছে এবং আদালতের রায় পরীক্ষা- নীরিক্ষা সাপেক্ষে বাস্তবায়নের কথা বলেছে তবু সেটা বাস্তবায়ন হলে মাঠ প্রশাসনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে যা নির্বাচন ব্যবস্থাকে পঙ্গু করবে, রাষ্ট্রকে দুর্বল করবে, বৈষম্য সৃষ্টি হবে এবং সামগ্রিক সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নকে হুমকির মুখে ফেলবে। এটি বাস্তবায়িত হলে প্রশাসন ক্যাডারের প্রায় ৪০% তরুণ অফিসার কখনোই পদোন্নতি পাবে না। এতে করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হবে এবং তাদের মনোবল ও কর্মস্পৃহা কমে যাবে। প্রশাসনের কর্মকর্তারাই জাতীয় নির্বাচনে মূখ্য ভূমিকা পালন করে। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে এই অন্যায্য প্রস্তাব চাপিয়ে দিয়ে কার্যকর জাতীয় নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে মর্মে জানা গেছে।
প্রশাসনের দীর্ঘদিনের শৃঙ্খলা ভেঙ্গে ফেলা, চেইন অব কমান্ড দুর্বল করে রাষ্ট্র ও সরকার ভয়ানক দুর্বল করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে একটি বিশেষ মহল। প্রশাসনে ভয়ানক অস্থিরতা বিরাজ করানোই তাদের উদ্দেশ্য। অন্য ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের পদে আসতে দেওয়া এবং অন্য ক্যাডারে প্রশাসন ক্যাডারের যাওয়া বন্ধ করলে সেটা অন্যায্য হবে। যেখানে অন্য সকল ক্যাডার কর্মকর্তারা পঞ্চম গ্রেডে পদোন্নতির দুটি সুযোগ পাচ্ছে, ১) নিজের ক্যাডারের পঞ্চম গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ, ২) উপসচিব পদে পদোন্নতির সুযোগ সেখানে প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা একটি সুযোগ পাচ্ছেন, ১) উপসচিব পদে পদোন্নতির সুযোগ। এটা প্রশাসন ক্যাডারের প্রতি সুস্পষ্ট বৈষম্য মনে করে তারা। কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, হঠাৎ করে সচিবালয়ের চাকরিকে (উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব) নতুন পুলভুক্ত করলে তা প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সাথে ন্যায়বিচার পরিপন্থী কাজ হবে যা আইনি নীতি Doctrine of Legitimate Expectation এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং পৃথিবীর আনেক দেশেই এই নীতিটি আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য। তারা মনে করছে এর মাধ্যমে প্রশাসনে অস্থিরতা সৃষ্টি করে নির্বাচনকে অকার্যকর করা ও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করাই একটি বিশেষ মহলের উদ্দেশ্য।
এছাড়া, প্রশ্ন উঠছে জেলা প্রশাসকদের শাস্তি দেওয়া হলেও যারা প্রিসাডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে তাদের কে কেন শাস্তির আওতায় নেওয়া হচ্ছে না। তাদের ভেতর থেকেও নির্বাচনে যারা বিতর্কিত ভূমিকা পালন করেছেন তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। উল্লেখ্য, ঊর্দ্ধতন কিছু কর্মকর্তার অপরাধে বিপুল সংখ্যক জুনিয়ার কর্মকর্তাদের যদি বৈষম্যের দিকে ঠেলে দেওয়ার আশংকা করছে প্রশাসনের জুনিয়র কর্মকর্তারা। সরকারের পক্ষ হতে মাঠ প্রশাসন দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক সমন্বয় করে থাকেন মাঠ। কিন্তু, জনকল্যাণে তাদের কি ধরণের উন্নয়ন হওয়া উচিত সেসব বিষয়ও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এমতাবস্থায়, সব মিলিয়ে প্রশাসনে অস্থিরতা কমিয়ে স্থিতিশীলতা না এলে নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
এমএল/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে জাতিসংঘের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

রোহিঙ্গারা আগামী ঈদ মিয়ানমারে করতে পারেন সেই চেষ্টা চলছে: ড. ইউনূস

সংস্কার ছোট পরিসরে হলে নির্বাচন ডিসেম্বরে, বৃহত্তর হলে জুনে

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, আমাদের সমুদ্র আছে: ড. ইউনূস
