বিমানের টিকিটের আর দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, ২১শে মার্চ ২০২৫


বিমানের টিকিটের আর দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা
ছবি: প্রতিনিধি

পবিত্র হজ্ব ও ওমরাহ পালনকে কেন্দ্র করে বিমানের টিকিট সিন্ডিকেশন করে বা গ্রুপ ভিত্তিক বুকিং দিয়ে আর দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।  


আরও পড়ুন: লড়াইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের জন্য আমরা প্রস্তুত: সারজিস আলম

শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার জেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।  


ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘বিমানের টিকিট নিয়ে অব্যবস্থাপনা, সিন্ডিকেশনের খবর পত্রপত্রিকায় এসেছে। এ জন্য ইতোমধ্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টা, আরও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় একটা নীতিমালা করা হয়েছে। এখন টিকিট বুকিং করতে গেলে পাসপোর্ট নাম্বার দিতে হবে। এখন টিকিট করতে গেলেই সংশ্লিষ্ট যাত্রীর পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে করতে হবে এবং ৩ দিনের মধ্যে যদি তিনি টিকিট না কেনেন তা বাতিল হয়ে যাবে।’ 


‘কোন বৈদেশিক অনুদান ছাড়াই সরকার সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করছে’ এবং ‘ অতীতে মসজিদের সাইট সিলেকশনে কিছু অনিয়ম ছিল’ উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে ৩৫০টি মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আরও ২১৪টি নির্মাণ করা হবে। অন্তবর্তী সরকারের সময়ে যে মসজিদগুলো নির্মাণ করা হবে তা যথাযথভাবে সাইট সিলেকশন, ফিজিবিলিটি স্টাডি, গনপূর্ত অধিদপ্তরের ডিজিটাল সার্ভেসহ যেখানে মসজিদের প্রয়োজন সেখানে করা হবে।  


এর আগে দুপুর ১২ টায় কক্সবাজার জেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নাম ফলক উন্মোচন করে ধর্ম উপদেষ্টা। পরে তিনি মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।  


এসময় সাথে ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  


আরও পড়ুন: সচিবালয়ে আউটসোর্সিং কর্মীদের জন্য হচ্ছে নতুন নীতিমালা


এর মধ্য দিয়ে জেলা শহরের কাচারি পাহাড় এলাকায় নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মসজিদটির যাত্রা শুরু হলো। দুপুরে সেখানেই মুসল্লীদের সাথে জুমার নামাজ আদায় করেন ধর্ম উপদেষ্টা।  


২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এটি নির্মাণে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা।  


এসডি/