বাংলাদেশে পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে আদানি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫০ অপরাহ্ন, ২৭শে মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার। আদানি ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টের পুরো সক্ষমতা অর্থাৎ ১৬০০ মেগাওয়াটই বাংলাদেশে সরবরাহ শুরু করেছে। বাংলাদেশের তরফ থেকে নিয়মিত বকেয়া পরিশোধ করতে শুরুর পরই আদানি পুনরায় এই উদ্যোগ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মার্কির সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গকে বলেন, আমরা আদানিকে নিয়মিত অর্থ পরিশোধ করছি এবং আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি।
তবে বিপিডিবির চেয়ারম্যান পরিশোধিত অর্থের পরিমাণ বা পূর্ববর্তী ঋণ পরিশোধের বিষয়টি প্রকাশ করেননি। ঋণের পরিমাণ, যা ৮৫০ মিলিয়ন ছিল, বর্তমানে ৮০০ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে এবং আগামী ছয় মাসে পরিশোধ সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের সুষ্ঠু উত্তরণে বান কি মুনের সহযোগিতা-পরামর্শ চেয়েছেন ড. ইউনূস
বিপিডিবি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আদানি পাওয়ার লিমিটেড দু’সপ্তাহেরও বেশি আগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি করেছে। একাধিক পেমেন্ট মিস হওয়ায় গত নভেম্বর মাসে আদানি পাওয়ার তার ভারতের ঝাড়খন্ডের ১,৬০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্ট থেকে সরবরাহ অর্ধেক করে দেয়।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তারা আদানির বকেয়া পরিশোধের জন্য প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে আসছে। তাই তারা এখন দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে ড. ইউনূসকে মোদির চিঠি
গত ডিসেম্বরে আদানির একটি সূত্র বলে, আদানিকে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। তবে সেই সময় বিপিডিবি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, প্রকৃত পরিশোধযোগ্য অর্থের পরিমাণ প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলার।
বিদ্যুতের দাম কীভাবে নির্ধারণ করা হবে, তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যেই বিরোধ ছিল। ২০১৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী, বিদ্যুতের মূল্য দুটি সূচকের গড় থেকে নির্ধারিত হয়েছিল। রয়টার্স বলছে, আদানির বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা ভারতের অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুতের মূল্য থেকে ৫৫ শতাংশ বেশি।
এমএল/