যশোর রোডের শতবর্ষী মৃত ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছ কর্তনের সিদ্ধান্ত
বিশেষ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ অপরাহ্ন, ২৯শে এপ্রিল ২০২৫

ঐতিহাসিক যশোর রোডে (যশোর-বেনাপোল সড়ক) শতবর্ষী গাছগুলো এখন মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে। মৃত ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যশোর জেলা পরিষদ।
কালের সাক্ষী হিসাবে দাড়িয়ে থাকা গাছগুলোর বেশির ভাগই এখন ঝুঁকিপূর্ণ মৃত বা অর্ধমৃত। হালকা বাতাসেই ডাল ভেঙে পড়ছে রাস্তায়, ঘটছে প্রাণহানিসহ নানা দুর্ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহন।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে থাকা মৃত ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কর্তনের পৃথক দুটি আবেদন করেন নাভারন হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ রোকনুজ্জামান রোকন ও যশোর নাগরিক অধিকার। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কর্তনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যশোরের জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে অস্ত্র ও গুলিসহ বনদস্যুকে আটক
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের অন্যতম বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল। প্রতিদিন এই বন্দর থেকে যশোর রোড হয়ে হাজার হাজার টন পণ্যবোঝাই ট্রাক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে।
২০২২ সালে এই সড়কটি ছয় লেনে সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য প্রয়োজন দেখা দেয় রাস্তার দুই পাশের পুরনো গাছগুলো কেটে ফেলা। কিন্তু একশ্রেণির পরিবেশবাদীরা তৎকালীন সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তা স্থগিত হয়ে যায়। তখন পরিবেশবিদদের পক্ষে এ নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করলে গাছ কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন উচ্চ আদালত।
সেই থেকে আইনি জটিলতায় এখনো পড়ে আছে শতবর্ষী মৃতপ্রায় গাছগুলো। কিন্তু বাস্তবতা হলো গাছগুলো এখন মানুষের মৃত্যুঝুঁকির কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে সিএনজি-কাভার্ডভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
এ বিষয়ে নাভারন হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, আমার আবেদনের উপর যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের মৃত ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছ কর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। চলতি বর্ষা মৌসুমে ঝড় ও বৃষ্টিপাতের ফলে যে কোন সময় মরাগাছ ও ঝুঁকিপূর্ণ ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে যে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ও যান-মালের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে এ অঞ্চলের মানুষেরা রক্ষা পাবে।
এমএল/