আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে উদ্বিগ্ন ভারত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত হওয়া’ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) নয়াদিল্লিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এ সময় বাংলাদেশে শিগগিরই অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান ও জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ ব্রিফিংয়ে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ঘটনা একটি খুবই উদ্বেগজনক পদক্ষেপ।’
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারত ‘গণতান্ত্রিক অধিকার হ্রাস এবং রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত হওয়া’ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন।’ দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে অবিলম্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে জোরালো সমর্থন জানাই।’
বিজ্ঞাপন
এর আগে, শনিবার (১০ মে) শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ওই দিন রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
বৈঠক শেষে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামি লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পরে সোমবার (১২ মে) বিকেলের দিকে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
বিজ্ঞাপন
এমএল/








