ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার টার্গেট ছিল ইরানের রাজনৈতিক বন্দিরাও
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, ২৯শে জুন ২০২৫

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে তীব্র সংঘাতময় ১২ দিন শেষে এখন যুদ্ধবিরতি চলছে। মূলত, পরমাণু উন্নয়ন কর্মসূচি বন্ধে ট্রাম্পের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ইরানের ওপর ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে বসে ইসরায়েল। ইরানও পাল্টা জবাব দিতে দিলে ইসরায়েলের সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সংঘাতকালে ইরানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, সেইসঙ্গে ঘটেছে বহু প্রাণহানি, এ হামলা থেকে রক্ষা পায়নি কয়েদিরাও। বিশেষ করে, দেশটির রাজনৈতিক বন্দিদেরও টার্গেট করেছিল ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার বিরুদ্ধে ‘কঠিন’ ব্যবস্থা নিল ইরান
ইরান-ইসরায়েলর যুদ্ধবিরতির আগে গত ২৩ জুন ইরানের রাজধানী তেহরানের এভিন কারাগারে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। ৭১ জন নিহত হয়েছেন এ হামলায়। নিহতদের মধ্যে কারাগারের প্রশাসনিক কর্মীদের পাশাপাশি আটককৃত বন্দি এবং সেনাবাহিনীতে কর্মরত কিছু তরুণও ছিলেন।
ইরানের বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে রবিবার (২৯ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত এভিন কারাগারে গত ২৩ জুন ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় অন্তত ৭১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র আসগর জাহাঙ্গীর।
রবিবার ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম মিজানে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই হামলায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন কারাগারের প্রশাসনিক কর্মীরা, সেনাবাহিনীতে কর্মরত কিছু তরুণ, আটককৃত বন্দিরা, বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে আসা তাদের পরিবারের সদস্য এবং কারাগারের আশপাশে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, টানা ১২ দিনের সংঘাতে ইসরায়েলের হামলায় ৬১০ জন নিহত হয়েছেন ইরানে, যাদের মধ্যে ১৩ শিশু এবং ৪৯ জন নারী।
ইরান দাবি করছে, এই হামলা শুধু সামরিক বা পরমাণু স্থাপনাতেই সীমাবদ্ধ ছিল এমনটা নয়, বরং ইরানের রাজনৈতিক কাঠামোর প্রতীকী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে— যেমন এভিন কারাগার, যেখানে মূলত রাজনৈতিক বন্দিদের রাখা হয়।
আরও পড়ুন: গাজায় অপুষ্টিতে ৬৬ শিশুর মৃত্যু
এই কারাগারে বহু বিদেশি নাগরিকও বন্দি রয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন দুইজন ফরাসি নাগরিক। তাদের নাম সেসিল কোলার ও জ্যাক প্যারিস। তারা তিন বছর ধরে সেখানে বন্দি আছেন।
হামলার পর ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল বারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, তেহরানের এভিন কারাগারে হামলা আমাদের নাগরিক সেসিল কোলার এবং জ্যাক প্যারিসের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
এসডি/