ভারতে বাংলাদেশি নারী পাচার বৃদ্ধি, যৌনপল্লিতে আটকে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৮ই আগস্ট ২০২৫


ভারতে বাংলাদেশি নারী পাচার বৃদ্ধি, যৌনপল্লিতে আটকে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা
প্রতীকী ছবি

ভারতে দিন দিন বাড়ছে বাংলাদেশি নারী পাচার ও জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার ঘটনা। সম্প্রতি দেশটির হায়দরাবাদ ও মহারাষ্ট্রসহ বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান চালিয়ে একাধিক বাংলাদেশি নারী ও কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। খবর এনডিটিভি।


রোববার (১৭ আগস্ট) হায়দরাবাদ থেকে এক বাংলাদেশি কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়, যাকে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানো হয়েছিল। গত এক মাসে খাইরতাবাদ, চাদেরঘাট ও বান্দলাগুডার বিভিন্ন যৌনপল্লি থেকে অন্তত চারজন বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।


আরও পড়ুন: নিউইয়র্কের ক্লাবে গুলিবর্ষণ, নিহত ৩


এর আগে, মহারাষ্ট্রের পালঘরে যৌন র‌্যাকেট থেকে উদ্ধার হওয়া ১৪ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি কিশোরী জানায়, গত তিন মাসে অন্তত ২০০ জন পুরুষ তাকে যৌন নির্যাতন করেছে। মানব পাচারবিরোধী ইউনিট (এএইচটিইউ), এনজিও এক্সোডাস রোড ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং হারমনি ফাউন্ডেশনের যৌথ অভিযানে গত ২৬ জুলাই মীরা-ভায়ন্দর ভাসাই-ভিরার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।


২০০০ সালের শুরু থেকেই হায়দরাবাদের যৌনপল্লিতে বাংলাদেশি নারীদের আটকে রাখার ঘটনা ঘটছে। শুধু বাংলাদেশি নয়, উজবেকিস্তান, রাশিয়া, ইউক্রেন, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের নারীরাও পাচার হয়ে এসব দেহ ব্যবসায় নিপতিত হচ্ছে।


আরও পড়ুন: কুয়েতে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বাংলাদেশিসহ ১৪ নারী গ্রেফতার


ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, বাংলাদেশের দারিদ্র্যপীড়িত এলাকাগুলো থেকে নারীদের চাকরির প্রলোভন ও ভালো জীবনের আশ্বাস দেখিয়ে ভারতে পাচার করা হয়। সীমান্ত এজেন্টদের সহায়তায় অবৈধভাবে প্রবেশের পর তাদের ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করে বিভিন্ন শহরে পাঠানো হয়। পরে দালালদের মাধ্যমে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়।


সেন্ট্রাল সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ড (সিএসডব্লিউবি) পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ভারতে বাণিজ্যিক যৌনশোষণের শিকার নারীদের মধ্যে অন্তত ২.৭ শতাংশই বাংলাদেশি। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই ও হায়দরাবাদের যৌনপল্লিগুলোতে এসব নারী বিক্রি হয় বলে জানানো হয়েছে।


আরও পড়ুন: এক ইসরায়েলির বদলে ৫০ ফিলিস্তিনি’—বিতর্কিত হুমকিতে উত্তাল বিশ্ব


বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশ-ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযান, সীমান্ত নজরদারি জোরদার এবং সচেতনতা কার্যক্রম বাড়ানো ছাড়া এ ভয়াবহ মানবপাচার রোধ করা সম্ভব নয়।


এএস