গাজার পাশাপাশি সিরিয়ায়ও আগ্রাসন, ভয়াবহ হামলা চালাল ইসরায়েল!


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ২৭শে আগস্ট ২০২৫


গাজার পাশাপাশি সিরিয়ায়ও আগ্রাসন, ভয়াবহ হামলা চালাল ইসরায়েল!
সংগৃহীত ছবি।

ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সিরিয়া ও লেবাননেও হামলা জোরদার করেছে দখলদার ইসরায়েল। সর্বশেষ সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে চালানো ড্রোন হামলায় দেশটির ছয় সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।


সিরিয়ার পক্ষ থেকে রাজধানীর বাইরে নতুন ইসরায়েলি ‘সামরিক অনুপ্রবেশ’ নিয়ে নিন্দা জানানোর একদিন পর দামেস্কের কাছে এই হামলা হলো।


আরও পড়ুন: মোদির চীন সফর: সাংহাই সম্মেলনে কূটনৈতিক নজর দক্ষিণ এশিয়ায়


বুধবার (২৭ আগস্ট) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দামেস্কের দক্ষিণে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় সিরীয় সেনাবাহিনীর ছয় কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-ইখবারিয়া। বুধবার ভোরে সম্প্রচারিত খবরে বলা হয়, দামেস্কের উপকণ্ঠে আল-কিসওয়া শহরের কাছে সিরীয় সেনা অবস্থানকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল।


গত ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে সিরিয়া জুড়ে শত শত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি ও অস্ত্রশস্ত্রই ছিল এসব হামলার লক্ষ্য। এছাড়া গোলান মালভূমির নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোন দখল করে তার দখলদারিত্ব আরও বিস্তৃত করেছে ইসরায়েল। এই পদক্ষেপ ১৯৭৪ সালের সিরিয়া-ইসরায়েল চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন।


এর আগে, সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের ‘সামরিক অনুপ্রবেশ’ নিয়ে নিন্দা জানিয়েছিল। মাউন্ট হারমোনের আশপাশের একটি কৌশলগত পাহাড়ি এলাকায় ৬০ জন ইসরায়েলি সৈন্য মোতায়েনের অভিযোগও করে দামেস্ক। এই এলাকা লেবাননের সীমান্ত সংলগ্ন বেইত জিন শহরের কাছাকাছি। দখলদার রাষ্ট্রটি অবশ্য এই অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।


সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শায়বানি অভিযোগ করেন, নিজেদের ‘সম্প্রসারণবাদী ও বিভাজন পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নের জন্য ইসরায়েল নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় গোয়েন্দা কেন্দ্র ও সামরিক পোস্ট গড়ে তুলছে।


সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ পরিকল্পনা প্রকাশ্যে তুলে ধরেছেন। উগ্র জাতীয়তাবাদী ইসরায়েলিরা এই পরিকল্পনাকে সমর্থন দিচ্ছে। এই পরিকল্পনায় পশ্চিম তীর, গাজা, লেবানন, সিরিয়া, মিসর ও জর্ডানের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: ইসরায়েলের বর্বর হামলায় আরও ৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত


ইতোমধ্যে ৩১টি আরব ও ইসলামি দেশ এবং আরব লীগ ইসরায়েলের এই পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করে একে আন্তর্জাতিক আইন ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা লঙ্ঘনের ‘স্পষ্ট ও বিপজ্জনক উদাহরণ বলে আখ্যায়িত করেছে।


এসডি/