রবীন্দ্রনাথ সেজে কটাক্ষের মুখে মীর
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
২৫শে বৈশাখ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দে কলকাতার জোড়াসাঁকোর এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে তার জন্ম। তিনি ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোট গল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে 'গুরুদেব', 'কবিগুরু' ও 'বিশ্বকবি' অভিধায় ভূষিত করা হয়।
রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে তারই বেশে হাজির হয়েছিলেন কলকাতার জনপ্রিয় সঞ্চালক ও অভিনেতা মীর আফসার আলি। লম্বা সাদা চুল আর দাড়ির সঙ্গে চোখে মানানসই মেটাল ফ্রেমের চশমায় তাকে দেখতে কবিগুরুর মতোই লাগছিলো।
এমনকি ক্যাপশনে রবীন্দ্রনাথের লেখা অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা 'নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ'-এর প্রথম দুটি পঙক্তির প্যারোডি করে লিখেছেন, ‘আজি এ দিবসে রবির চড়/ কেমনে বসিল গালের ওপর/ জন্মদিনের কেক কাটিবেন মহান বিশ্বকবি/ বিশ্বভারতীরও কাছে নাই রবির এমন ছবি...’।
এভাবেই নিজের কায়দায় রবি ঠাকুরকে স্মরণ করেছে মীর। ববাবরের মতো এবারও কটাক্ষের মুখে পড়েছেন তিনি। তার সেই পোস্টের নিচে হাজার হাজার নেটজনতা মন্তব্য করেছেন। অনেকেই তার লুকে প্রশংসা করলেও কেউ কেউ বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। এমনকি তীব্র নিন্দা জানিয়ে কটু মন্তব্য করেছেন।
পাভেল ঘোষ লিখেছেন, 'একটাই শব্দ...ছিঃ...!'
সৌমিত্র দেব লেখেন, ‘আজ প্রকৃত শিল্পীর পরিচয় প্রদর্শন বিশ্বকবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে সংযত,মার্জিত ও রুচিপূর্ণ হওয়াটা আপনার প্রকৃত শিক্ষার প্রমাণ রাখতে পারত! আজ যেটা করলেন সেটা সমগ্র রবীন্দ্র অনুরাগী ও সংস্কৃতিকে কলুষিত করল! সীমারেখা প্রয়োজন।’
রিতা মুখার্জি লিখেছেন, ‘এসব সহ্য করা যায় না। ফাজলামির একটা লিমিট রাখা চাই।’
অঞ্জন ব্যানার্জি লিখেছেন, ‘একজন সাধারণ রেডিও জকি আপামর বাঙালির আবেগ ও শ্রদ্ধার মানুষ, যিনি দুটি দেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা তথা বিশ্ববরেণ্য তাঁকে নিয়ে মস্করা করছে আর কিছু লোক তার সাথে ঢোল বাজানো শুরু করেছে। আমাদের ভাববার সময় এসেছে, এই সব ভাঁড়গুলোকে কত তাড়াতাড়ি আয়নার সামনে দাঁড়াতে বাধ্য করবো।’
আশিষ কুমার ব্যানার্জি লিখেছেন, ‘সব সময়ই ছ্যাবলামি সহ্য হয় না। মনের গভীরতার অভাব স্পষ্ট, আর কতদিন থাকবে 'অসামশালা'?’
এছাড়াও কেউ কেউ মীরকে ব্যাঙ্গ করে ‘মীরেন্দ্রনাথ ঠাকুর’ লিখে মন্তব্য করছেন। কেউবা আবার সব বিষয়ে মজা না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
ওআ/