অভিনেত্রী বিদিশার পর বান্ধবীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


অভিনেত্রী বিদিশার পর বান্ধবীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

বিদিশা মজুমদারের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক মডেল- অভিনেত্রীর মৃত্যু সংবাদে টলিপাড়ায় হইচইয়ের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (২৭ মে) সকালে ভারতের কলকাতার পাটুলি থেকে উদ্ধার হল বিদিশার বান্ধবী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ। 

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মঞ্জুষা। 

জানা যায়, বিদিশার ভাল বন্ধু ছিলেন মঞ্জুষা। বৃহস্পতিবার বিদিশার মৃত্যুর খবর পেয়ে অত্যন্ত ভেঙ্গে পড়েন তিনি। দিনভর চাপা কষ্ঠে ছিলেন। শ্বশুর বাড়ি থেকে পাটুলিতে নিজের বাড়িতে চলে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার ও ফটো শ‍্যুট করেছেন তিনি। সেদিন তাঁর স্বামী তাঁকে নিতে এসেছিলেন।

কিন্তু মঞ্জুষার মা তাঁর মেয়ের জামাইকে বলেন, কিছুদিন মেয়েকে বাপের বাড়িতে রেখে যেতে। এরই মধ‍্যে বুধবার বিদিশার মৃত্যুর খবর পান তাঁর বন্ধু মঞ্জুষা। তারপর থেকেই অবসাদে ভুগতে থাকেন। 

মঞ্জুষার মায়ের দাবি, পল্লবীদের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল অভিনেত্রীর। কি কারণে এই মৃত্যু, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

থিয়েটার অভিনেত্রী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন গড়িয়ার মেয়ে মঞ্জুষা। হরিমতী বালিকা উচ্চ বিদ‍্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে দীনবন্ধু অ‍্যান্ড্রুজ কলেজে বায়োসায়েন্স নিয়ে ভর্তি হন মডেল অভিনেত্রী। পাশাপাশি থিয়েটারে অভিনয় চলত। সেখান থেকেই টলিউডে পা। মাস কয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল মঞ্জুষার। শ্বশুর বাড়ি খুব ভাল বলে জানাচ্ছেন তাঁর মা। বিয়ের পরও নিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ছোট পর্দার ধারাবাহিকে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে দর্শকদের পরিচিত পান মঞ্জুষা। তবে মূলত মডেল হিসেবেই নিজের কেরিয়ারের পথে এগিয়ে চলেছিলেন। ব্রাইডাল শুট এর জগতে বেশ পরিচিত মুখ মঞ্জুষা নিয়োগী। তবে সম্প্রতি হাতে কাজ একটু কম ছিল তাঁর। সে কারণে খানিকটা অবসাদে ভুগছিলেন। 

শুক্রবার সকালে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর মঞ্জুষার মায়ের মুখে কেবলই বিদিশার কথা শোনা গেল। 

মা বলেছেন, মেয়ে বিদিশার খুব ভাল বন্ধু ছিল। সব সময়ে বিদিশার কথা। ওর ইচ্ছে ছিল, মডেলিং করেই খুব বড় হবে। বিদিশার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই আরও ভেঙে পড়ল। আমাকে বারবার বলছিল, কেন এভাবে চলে গেল বিদিশা? তবে ও যে এমটা করবে ভাবতেই পারিনি। আসলে এদের খুব লোভ। পল্লবী, বিদিশা, মঞ্জুষা সবার খুব লোভ ছিল। পয়সার হাতছানিতে ওরা বাকি সব ভূলে গেল।

 মায়ের আরও বক্তব‍্য, মঞ্জুষার মৃত্যুর পিছনে অন‍্য কেউ নয়, নিজের দোষেই নিজের মৃত্যু ডেকে এনেছে মেয়ে। অসহায় মায়ের চোখের জল বাঁধ মানছে না। তার মাঝে ও তিনি সংবাদ মাধ‍্যমের সামনেমুখ খুলেছেন। পুলিশ মঞ্জুষার কোনো সুইসাইড নোট পায়নি তাঁর কক্ষে। 

উল্লেখ্য, চলিত মাসের মাঝামাঝি সময়ে গড়ফার ফ্ল‍্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ পল্লবীর দে'র মৃতদেহ, সেই মৃত্যুর তদন্ত চলছে এখনও। এরপর বৃহস্পতিবার দমদমের ভাড়াবাড়ি থেকে মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আর শুক্রবার ঠিক একইভাবে উদ্ধার হল আরেক মডেল- অভিনেত্রী মঞ্জুষার নিথর দেহ। বাংলা বিনোদন দুনিয়ার পরপর এতজনের মৃত্যু ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে।

এসএ/