কলকাতায় ফের উঠতি মডেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


কলকাতায় ফের উঠতি মডেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

আবারও কলকাতায় এক উঠতি মডেলের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটল। পল্লবী, বিদিশা, মঞ্জুষা, সরস্বতীর পর এবার পূজা সরকার। 

রবিবার (১৭ জুলাই) ভোররাতে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় নিজের ঘর থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পেশায় মডেল ওই তরুণী বাঁশদ্রোণী এক বহুতলে ভাড়া থাকতেন। সেখানেই মাসছয়েক আগে ওই বহুতলের একতলায় ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন পূজা সরকার নামে ওই তরুণী। স্থানীয় সূত্রে খবর, গোবরডাঙা হিন্দু কলেজে পড়ছিলেন পূজা। পাশাপাশি মডেলিংও করতেন তিনি। জানা গিয়েছে, পূজার আসল বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায়। এদিকে, স্থানীয়দের দাবি, প্রায়শই ওই তরুণী এবং তাঁর বান্ধবীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। এমনকি মারধরের ঘটনাও ঘটত। ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। 

এই মুহূর্তে ওই তরুণীর বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ঘটনার আগে দুজনের মধ্যে অশান্তি হয়েছিল কিনা, নাকি পূজা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই ফ্ল্যাটে দুই তরুণ ও দুই তরুণী থাকতেন। প্রায়শই রাতে ফ্ল্যাটের থেকে চিৎকার-চেঁচামেচির আওয়াজ পাওয়া যেত। প্রায়শই এই ধরনের অশান্তি হওয়ায়, তা কার্যত ওই বহুতলের অন্যান্য বাসিন্দাদের অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। যদিও ফ্ল্যাটের মালিকের সঙ্গে স্থানীয়দের বক্তব্যে ফারাক রয়েছে। মালিক জানিয়েছেন, পূজা এবং অপর তরুণীই শুধু ভাড়া থাকতেন ওই ফ্ল্যাটে। গভীর রাত করে বাড়ি ফিরতেন পূজা। এরপর রাতে অশান্তি শুরু হত। এর সঙ্গে মডেলের মৃত্যুর কোনও যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

জানা গিয়েছে, রাতে পূজা একটি ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। বহুবার ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। সেই সময় আরেক তরুণী বাধ্য হয়ে বহুতলের অন্যান্য বাসিন্দাদের ডাকাডাকি করতে শুরু করেন। প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। এরপর দরজা ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। ঢুকেই তাঁরা দেখেন, গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সিলিং পাখা থেকে ঝুলছেন পূজা। দ্রুত খবর দেওয়া হয় বাঁশদ্রোণী থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই সব শেষ, মৃত্যু হয় উঠতি মডেল পূজার। ইতিমধ্যেই তরুণীর বাড়িতে এই ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছে। 

ওআ/